ধর্ষণের আলামত নষ্ট

২ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

Looks like you've blocked notifications!

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় আলামত নষ্ট করা এবং তার অপ্রাপ্তবয়স্ক ভাইকে জোর করে মামলার আসামি করার অভিযোগে দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার শিশুটির মা বুধবার চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মীর শফিকুল ইসলামের আদালতে বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলায় আসামি করা হয়েছে রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর ও উপজেলার শিলক ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক (এসআই) মজিবুর রহমানকে।

বার্তা সংস্থা ইউএনবির এক খবরে বলা হয়েছে, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ওই নারী গত ৮ মে তাঁর প্রতিবেশী শাহ আলমের (৫৫) বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণের মামলা করতে গেলেও পুলিশ নেয়নি। শিশুটি শাহ আলমের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করত। ধর্ষণের ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন শাহ আলমকে ধরে পুলিশে দিলেও পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। উল্টো ধর্ষণের শিকার ওই শিশু, তার মা ও শিশুটির ভাইকে থানা নিয়ে আটকে রাখে রাঙ্গুনিয়া থানার পুলিশ। পরে পুলিশ শিশুটির ভাইকে ধর্ষক বানিয়ে আদালতে সোপর্দ করে।

এ নিয়ে গত ২৩ মে একটি ইংরেজি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনের সূত্র ধরে ২৫ মে বিচারপতি কাজী রেজা-উল-হক ও আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে একটি রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। আদালত ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মামলা গ্রহণ ও শাহ আলমসহ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে রাঙ্গুনিয়া থানাকে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন হলো কি না, সে বিষয়ে আগামী ১৫ জুন রাঙ্গুনিয়া থানার ওসিকে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলেন।

একই সঙ্গে মামলা নিতে অস্বীকার করা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং শাহ আলমসহ আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে রুল চেয়েছেন আদালত। রুলের জবাব দিতে হবে চার সপ্তাহের মধ্যে।

স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, চট্টগ্রাম অঞ্চলের ডিআইজি, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার, রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি, উপপরিদর্শক মজিবুর রহমান ও মরিয়মনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিচালকসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।