আবারও জেলা পরিষদের নেতৃত্বে ফিরলেন মোশারফ

Looks like you've blocked notifications!

পটুয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আলহাজ খান মোশারফ হোসেন বিজয়ী হয়েছেন। তিনি এর আগে জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পেয়েছেন ৯৩০ ভোট। তাঁর নিকটতম একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন পেয়েছেন ৭৬ ভোট।

এ ছাড়া আজ ১৫টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ও পাঁচটি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হয়েছে।

১ নম্বর ওয়ার্ড মির্জাগঞ্জে সাধারণ সদস্যপদে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সফিকুল ইসলাম মহসিন মৃধা জয়ী হয়েছেন। প্রদত্ত ৮১ ভোটের মধ্যে মো. সফিকুল ইসলাম মহসিন মৃধা (টিউবওয়েল) ৪৭ ভোট, মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার (তালা) ১৯, মো. আবু বেপারী (হাতি) সাত ভোট এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. ইউনুচ আলী সরদার (বৈদ্যুতিক পাখা) ছয় ভোট পেয়েছেন।

২ নম্বর ওয়ার্ডে অ্যাডভোকেট উজ্জ্বল চন্দ্র বসু হাতি প্রতীক নিয়ে ১৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. সুলতান আহমেদ সিলিংফ্যান প্রতীকে ১৮ ভোট পেয়েছেন।

৩ নম্বর ওয়ার্ডে মো. সহিদুল ইসলাম (শহিদ মৃধা) হাতি প্রতীক নিয়ে ৩৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইঞ্জিনিয়ার মো. জামাল হোসেন অটোরিকশা প্রতীকে ১৫ ভোট পেয়েছেন।

৪ নম্বর ওয়ার্ডে সৈয়দ ফজলুল হক অটোরিকশা প্রতীক নিয়ে ৪১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রার্থী মো. মিজানুর রহমান তালা প্রতীকে ২২ ভোট পেয়েছেন।

৫ নম্বর ওয়ার্ডে মো. জহির উদ্দিন বাবর টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ৬৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রার্থী মো. জসিম উদ্দিন তালা প্রতীকে ১৫ ভোট পেয়েছেন।

৬ নম্বর ওয়ার্ডে মো. হারুন আর রশীদ তালা প্রতীক নিয়ে ৬৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছে। তাঁর নিকটতম প্রার্থী এস এম রেজাউল করিম কোনো ভোট পাননি।

৭ নম্বর ওয়ার্ডে মো. বশিরুল আলম তালা প্রতীক নিয়ে ৩৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন টিউবওয়েল প্রতীকে ৩১ ভোট পেয়েছেন।

৮ নম্বর ওয়ার্ডে মো. জাকির হোসেন ভুট্টো তালা প্রতীক নিয়ে ৩০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রার্থী উত্তম কুমার কর্মকার হাতি প্রতীকে ২২ ভোট পেয়েছেন।

৯ নম্বর ওয়ার্ডে মো. মিজানুর রহমান তালা প্রতীক নিয়ে ৪৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রার্থী মো. ফখরুল ইসলাম টিউবওয়েল প্রতীকে ১২ ভোট পেয়েছেন।

১০ নম্বর ওয়ার্ডে মো. ইউসুফ তালা প্রতীক নিয়ে ২৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রার্থী মো. আসাদ টিউবওয়েল প্রতীকে ২৩ ভোট পেয়েছেন।

১১ নম্বর ওয়ার্ডে গোলাম মোস্তফা টিটু তালা প্রতীক নিয়ে ৩৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রার্থী মো. ফিরোজ আলম অটোরিকশা প্রতীকে ২৫ ভোট পেয়েছেন।

১২ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্যপদে মো. মোশাররফ হোসেন মৃধা তালা প্রতীকে ৬৫ ভোটের মধ্যে ৩৪ ভোট পেয়ে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রার্থী নিপু তালুকদার টিউবওয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ২১ ভোট।

১৩ নম্বর ওয়ার্ডে মো. ফিরোজ সিকদার তালা প্রতীকে ৬৬ ভোটের মধ্যে ৪৬ ভোট পেয়ে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুল মান্নান খান আটোরিকশা প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ ভোট।

১৪ নম্বর ওয়ার্ডে মো. আসলাম হাওলাদার তালা প্রতীকে ৭২ ভোটের মধ্যে ৩৩ ভোট পেয়ে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম আবদুল মালেক আকন আটোরিকশা প্রতীকে পেয়েছেন ২৩ ভোট।

১৫ নম্বর ওয়ার্ডে এ কে সামসুদ্দিন হাতি প্রতীক নিয়ে ২২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রার্থী মো. কামরুল ইসলাম তালা প্রতীকে পাঁচ ভোট পেয়েছেন।

পটুয়াখালী সদর-মির্জাগঞ্জ ১ নম্বর সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে সালমা জাহান ফুটবল প্রতীক নিয়ে ১২১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রার্থী মোসা. নিলুফা ইয়াসমিন দোয়াত কলম প্রতীকে ৮৪ ভোট পেয়েছেন।

২ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনে রুনিয়া বেগম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

দশমিনা ৩ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে কাজী লিপি হরিণ প্রতীক নিয়ে ৭৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছে। তাঁর নিকটতম প্রার্থী মোসা. নাসরিন ফুটবল প্রতীকে ৪৫ ভোট পেয়েছেন।

৪ নম্বর সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ইসরাত জাহান টেবিল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে ১১৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রার্থী মোসা. রাশিদা ফুটবল প্রতীকে ৭৮ ভোট পেয়েছেন।

৫ নম্বর সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রীতি হায়দার ফুটবল প্রতীকে ২০৫ ভোটের মধ্যে ১২৩ ভোট পেয়ে সংরক্ষিত মহিলা সদস্যপদে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম লাইজু হেলেন লাকী টেবিল ঘড়ি মার্কায় পেয়েছেন ৮২ ভোট।

পটুয়াখালী জেলায় ৭৫টি ইউনিয়ন ও পাঁচটি পৌরসভায় এক হাজার ৩০ জন ভোটার রয়েছে বলে জেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নাজমুল কবীর জানান। বাতিল হয়েছে নয়টি ভোট।