কিশোরী বলল, আমি ধর্ষণের শিকার
ঝালকাঠিতে সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কিশোরীটি সদর উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা। তার দাবি, গত মঙ্গলবার রাতে বাড়ির পাশেই সে এ ঘটনার শিকার হয়েছে।
কিশোরীর মা গতকাল বুধবার রাতে ঝালকাঠি থানায় তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। এতে তিনি বলেন, গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ওই কিশোরীকে ঘরে রেখে মা পাশে এক আত্মীয়র বাড়িতে যান। কিছুক্ষণ পর প্রতিবেশী তাজুল ইসলাম এসে ওই কিশোরীকে বাইরে বের হতে বলে। স্কুলছাত্রী ঘর থেকে বের হতেই রাসেল হাওলাদার ও কাইয়ুম মেয়েটির মুখ চেপে ধরে পাশের বাগানে নিয়ে যায়। পরে তাকে রাসেল ধর্ষণ করে। এ সময় অপর দুই যুবক রাসেলকে সহযোগিতা করে।
কিশোরীর মা বলেন, ‘রাসেল আমার মেয়েকে অনেক আগে থেকেই উত্ত্যক্ত করত। বিষয়টি আমার মেয়ে আগেই আমাকে জানিয়েছিল। গরিব বিধায় কাউকে এ কথা জানাইনি।’
ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শীলমণি চাকমা বলেন, অভিযোগ পেয়েই পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে রাসেল হাওলাদারকে (২০) ওর নিজের বাসা থেকে আটক করে। পরে তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ধর্ষণে সহযোগিতা করার অভিযোগে তাজুল ইসলাম লিমনকে (১৩) আটক করে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। বিচারক মো. আরিফুজ্জামান আসামিদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঝালকাঠি থানার উপপরিদর্শক মো. ফারুক হোসেন বলেন, ওই স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে কি না, তা পরীক্ষার জন্য গতকাল রাতে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার প্রতিবেদন পাওয়া যাবে।