খুলনায় আ. লীগ নেতাকে গুলি, নারী নিহত

Looks like you've blocked notifications!
খুলনায় আ. লীগ নেতাকে লক্ষ্য করে চালানো গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে এক নারী নিহত হন। ছবি : এনটিভি

খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জেড এ মাহমুদ ডনকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে এক দুর্বৃত্ত। সেই গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে নিহত হয়েছেন শিপ্রা কুণ্ডু নামের এক গৃহবধূ।

আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার পর নগরীর ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে শ্রীতলা বাড়ির মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শিপ্রা কুণ্ডু খুলনা শিল্প ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) চিত্ররঞ্জন কুণ্ডুর স্ত্রী। তিনি দোলখোলার শীতলাবাড়ী এলাকায় থাকতেন।

গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শিপ্রাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে দুপুর ১২টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।

সাবেক কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ডন জানান, তিনি সকাল সাড়ে ১০টার পর মোটরসাইকেলের ওপর বসে কথা বলছিলেন। এ সময় দুটি মোটরসাইকেলে করে ছয়জন এসে তাঁকে খুঁজতে থাকে। পরে তাদের একজন কোমর থেকে অস্ত্র বের করে তাঁকে (ডন) গুলি করতে উদ্ধত হয়। এ সময় ডনকে বাঁচাতে ধাক্কা দেন সঙ্গে থাকা একজন। ঠিক সেই মুহূর্তে গুলি ছোড়ে ওই দুর্বৃত্ত। সেই গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে বিদ্ধ হয় শিপ্রা কুণ্ডুর গায়ে।

ডন আরো জানান, গুলি ছোড়ার সময় তিনি দৌড়ে পাশের একটি ঘরে গিয়ে আশ্রয় নেন। পরে সন্ত্রাসীরা আরো ১৫ থেকে ১৬টি গুলিবর্ষণ করে মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়।

এদিকে গুলি থেকে বেঁচে যাওয়ার পর ডনকে নিয়ে খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন এমপি মিজানুর রহমান। তিনি ঘটনার সঙ্গে মাদক ব্যবসায়ীদের জড়িত থাকার কথা দাবি করেন।

মিজানুর বলেন, এই চক্র এর আগে ডনের ওপর আরো দুই দফা হামলা করেছিল। নাম দিয়ে মামলা করার পরও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। তিনি ঘটনার জন্য পুলিশ প্রশাসনের ব্যর্থতাকে দায়ী করেন।

ডন বলেন, ২০১৪ সালের ডিসেম্বর তাঁর বাসভবনে বোমা হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। পরে চলতি বছরের ২৭ অক্টোবর দ্বিতীয় দফায় এই এলাকার গাফফারের মোড়ে হামলা, বোমা ও গুলিবর্ষণ হয়। এসব ঘটনায় আসামিদের নাম-ঠিকানা দিয়ে মামলা করা হলেও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর পরই অভিযান চলছে। আসামিদের যেকোনো মূল্যে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।