বাংলাদেশ-ভুটানের পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু
দীর্ঘ অপেক্ষার বাণিজ্য চুক্তি অনুযায়ী পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। আর এর মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যে আরো একধাপ এগিয়ে গেল দেশের উত্তরাঞ্চলের এই স্থলবন্দর।
নতুন বছরের প্রথম দিন গতকাল রোববার প্রথমবারের মতো বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভুটান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে পণ্য আমদানি করা হয়। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণের নতুন দিগন্তের সূচনা হলো বলে মনে করছেন ব্যবসায়ী ও বন্দর সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে ১৯৯৭ সালের ১ সেপ্টেম্বরে নেপাল-ভারত ও ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরুর বিষয়ে একটি বাণিজ্যচুক্তি হয়। এর মধ্যে ভারত ও নেপাল থেকে পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু হলেও ভুটানের সঙ্গে এই প্রথম শুরু হলো এই কার্যক্রম।
গতকাল বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ভুটান থেকে পাথরভর্তি দুটি ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্টে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, আমদানি-রপ্তানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা ভুটান থেকে আগত প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান। একটি ফিতা কেটে ভুটানের পণ্যবাহী ট্রাকটি বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বন্দরে উপস্থিত সবার মাঝে সে সময় মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
বাংলাদেশের আমদানিকারক আঁখি অ্যান্ড অপু ট্রেডার্স প্রথমবারের মতো ভুটান থেকে এই পাথর আমদানি করে।
এ সময় তেঁতুলিয়া উপজেলার চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শাহিন, বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদরত ই খুদা মিলন, ভুটানের রিজিং এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মুন্না খান, মেসার্স আঁখি অ্যান্ড অপু টেডার্সের স্বত্বাধিকারী মোজাফফর হোসেন, শান এন্টারপ্রাইজের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সাইদুর রহমান, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট শফিকুল ইসলাম, ইন্দো ফয়েল প্রাইভেট লিমিটেডের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মো. সেলিম, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আবদুল লতিফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চুক্তি অনুযায়ী ভুটান থেকে বাংলাদেশে ৭৪টি পণ্য এবং বাংলাদেশ থেকে ভুটানে ৬৮টি পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা যাবে।