গণমাধ্যমে এখন সম্পাদক নেই, আছেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা

সাংবাদিক আবেদ খান বলেছেন, দেশে-বিদেশে সাংবাদিকতার জগৎ ক্রমান্বয়ে নিগৃহীত হচ্ছে, সংকুচিত হচ্ছে এবং করপোরেটরের গ্রাসে নিপতিত হচ্ছে। কী বিপজ্জনক পরিস্থিতি, গণমাধ্যমে এখন সম্পাদক নেই, আছেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। সাংবাদিক নেই, আছেন কর্মকর্তা-কর্মচারী।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজশাহী নগরীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে জার্নালিজম, কমিউনিকেশন অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবেদ খান এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজলা ক্যাম্পাসে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম সাইদুর রহমান খান ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল হোসেন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আবেদ খান বলেন, ‘পৃথিবীতে সবচাইতে পচনশীল যে দ্রব্য তা হচ্ছে সংবাদ। এই সংবাদই তোমাদের প্রতিমুহূর্তে পরিবেশন করতে হবে। এই মুহূর্তের সংবাদই পর মুহূর্তে বাসি হয়ে যাচ্ছে। তারপর আবার হয় ফলোআপ। এই যে তাৎক্ষণিকতা, চ্যালেঞ্জ-এগুলোকে গ্রহণ করতে হবে।’
বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকতার দুরবস্থার কথা উল্লেখ করে আবেদ খান বলেন, ‘হতাশার কথা বলবার কারণ হচ্ছে সাংবাদিকতার দুরবস্থা দূর করতে হবে। মানুষ হলো সত্যের পূজারি। সাংবাদিকদের প্রতিমুহূর্তে লড়াই করতে হয়। এটাই হচ্ছে সাংবাদিকতার বড় চ্যালেঞ্জ।’
নবীনদের উদ্দেশে আবেদ খান বলেন, ‘তোমরা জেগে ওঠো বলে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় তরুণরা জেগে ওঠে। তরুণরা জেগে ওঠে বলেই নতুনের উন্মেষ ঘটে। তোমরা জেগে ওঠো বলেই একজন ঘাতক পার পেয়ে যাওয়ার পরও ফাঁসিতে ঝুলতে হয়। অন্ধকার যত বিশাল হোক, যত সর্বব্যাপী হোক, সত্যকে প্রতিষ্ঠা করতে প্রদীপের শিখার মতো তোমাদের জ্বলে উঠতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক সাইদুর রহমান খান বলেন, ‘সাংবাদিকদের সমাজের বিবেক বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। একজন দক্ষ সাংবাদিক হওয়ার জন্য বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান থাকতে হবে। সে জন্য নিয়মিত পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম, কমিউনিকেশন অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি মো. মশিহুর রহমানের সভাপতিতে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিভাগের শিক্ষক মো. আমিনুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিভাগের স্প্রিং ও সামার সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়া হয়।