কানাডায় অভিবাসন করতে চাইলে এখনই সুযোগ

Looks like you've blocked notifications!

অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য ২০১৭ সাল হতে পারে স্বপ্নপূরণের বছর। কানাডা সরকারের নতুন অভিবাসন আইন দেখে এমনটাই মনে করছেন অভিবাসন সংশ্লিষ্টরা। এ বছর সর্বোচ্চসংখ্যক নতুন পরিবার বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে দেশটিতে অভিবাসনের সুযোগ পাবে।

নতুন বছরে কানাডা সরকারের পরিকল্পনার বিশেষ দিকগুলো হচ্ছে :

•   ফেডারেল স্কিলড ওয়ার্কার ক্লাস, ফেডারেল স্কিলড ট্রেডার্স ক্লাস এবং কানাডিয়ান এক্সপেরিয়েন্স ক্লাসের অধীনে গতবারের চেয়ে ২৩ শতাংশ বেশি পরিবার অভিবাসনের সুযোগ পাবে।

•   এ বছর প্রভিন্স নমিনি প্রোগ্রামের অধীনে কানাডা সরকার অন্তত ৫১ হাজার নতুন অভিবাসীকে বসবাসের সুযোগ দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।

•   কুইবেক প্রদেশ তাদের স্কিলড ওয়ার্কার প্রোগ্রামের আওতায় আনুমানিক ২৯ হাজার নতুন অভিবাসনপ্রত্যাশীর জন্য বসবাসের ও কাজ করার সুযোগ তৈরি করে দেবে।

•   চলতি বছর ২০১৬ সালের চেয়ে বেশি সুবিধা পাবেন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা।

•   ফ্যামিলি ক্লাস স্পন্সরশিপের আওতায় স্বামী বা স্ত্রী, সন্তান ও অভিভাবকরা আরো সহজ ও দ্রুত প্রক্রিয়ায় ইমিগ্রেশন করতে পারবেন।

সব মিলিয়ে এ বছর প্রায় তিন লাখ ২০ হাজার মানুষকে বসবাসের সুযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কানাডা সরকারের। কর্মীস্বল্পতা ও ভৌগোলিক সাম্যতা বজায় রাখতেই এসব পদ্ধতি বাস্তবায়ন করছে দেশটি।

কানাডা সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদ্ধতির জন্য বাংলাদেশের যোগ্য আবেদনকারীরা যেভাবে আবেদন করতে পারেন সেগুলো হলো :

এক্সপ্রেস অ্যান্ট্রি

গত ৪ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত এক্সপ্রেস অ্যান্ট্রি ড্রতে মোট দুই হাজার ৯০২ জন আমন্ত্রণ পেয়েছেন। এবারের ড্রতে সিআরএস পয়েন্ট নেমে এসেছে ৪৬৮-তে। এই অ্যান্ট্রি মূলত তিনটি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত। এগুলো হলো : ফেডারেল স্কিলড ওয়ার্কার, ফেডারেল স্কিলড ট্রেডার্স ও কানাডিয়ান এক্সপেরিয়েন্স ক্লাস। এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো পেশা বা কোটা পদ্ধতি নেই।

প্রভিন্সিয়াল নমিনি প্রোগ্রাম

কানাডার মোট ১১টি প্রদেশ অভিবাসনের জন্য মনোনয়ন করতে পারে। এ জন্য একেক প্রদেশ একেক সময় তাদের প্রোগ্রাম উন্মুক্ত করে। অবশ্য প্রদেশ ভেদে শর্ত আলাদা হয়। যোগ্য আবেদনকারীরা তাঁদের যোগ্যতা অনুযায়ী আবেদন করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে প্রোগ্রামের সময়কাল এবং শর্তগুলো লক্ষ রাখতে হয়। অনেক সময় কিছু শর্ত শিথিলযোগ্য হয় আবার কখনো নতুন শর্ত আরোপ করা হয়।

যেমন ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রভিন্সিয়াল প্রোগ্রামটি বর্তমানে চালু রয়েছে। খুব শিগগির চালু হবে নোভা স্কশিয়া ও অন্টারিও প্রভিন্সিয়াল নমিনি প্রোগ্রাম।

ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রভিন্সিয়াল প্রোগ্রাম

IELTS-এ ৫.৫ পয়েন্টসহ দুই বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিরা শুধুমাত্র স্নাতক ডিগ্রি থাকলেই কানাডার অন্যতম সুন্দর এই প্রদেশে আবেদন করতে পারেন। এই প্রোগ্রামটি চারটি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত। এগুলো হলো : এক্সপ্রেস অ্যান্ট্রি বিসি – স্কিলড ওয়ার্কার ও ইন্টারন্যাশনাল গ্রাজুয়েট। স্কিলড ইমিগ্রেশন : স্কিলড ওয়ার্কার ও অ্যান্ট্রি লেভেল সেমি স্কিলড।

কুইবেক ইমিগ্রেশন

কুইবেক কানাডার একটি প্রদেশ এর ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া আলাদা ও স্বতন্ত্র। বছরের যে কোনো সময় নির্দিষ্ট কোটা উল্লেখ করে তাদের প্রোগ্রামের ঘোষণা দেওয়া হয়। সাধারণত এই প্রদেশের শর্ত বা যোগ্যতাগুলো অনেক সহজ। মূলত তিনটি ক্যাটাগরি থাকে। এগুলো হলো : কুইবেক স্কিলড ওয়ার্কার প্রোগ্রাম, এন্টারপ্রেনর প্রোগ্রাম ও কুইবেক এক্সপেরিয়েন্স ক্লাস। প্রতিটি প্রোগ্রামেরই নিজস্ব শর্ত রয়েছে। প্রয়োজন ও যোগ্যতা অনুযায়ী ভালো কোনো আইনজীবীর পরামর্শ নিয়ে যে কেউ এর জন্য আবেদন করতে পারেন।

ফ্যামিলি ইমিগ্রেশন

ফ্যামিলি স্পন্সরশিপের আওতায় কানাডার অভিবাসী হওয়া সবচেয়ে সহজ। তবে যাঁদের কাছের আত্মীয় নেই, তাঁরা এই সুযোগ পাবেন না।

এই দুটি প্রধান ক্যাটাগরি বাদ দিলে যাদের আর্থিক সামর্থ্য আছে, তারা বিভিন্ন ইনভেস্টর প্রোগ্রামেও পরিবারসহ ইমিগ্র্যান্ট হতে পারেন।

এ ছাড়া কানাডায় যাওয়ার জন্য স্বল্পমেয়াদি ভিসাগুলো হচ্ছে : স্টুডেন্ট ভিসা, ভিজিটর ভিসা ও সুপার ভিসা।

চাকরিসহ সবচেয়ে সহজ ও ভালো একটি অফার হচ্ছে কেয়ারগিভার প্রোগ্রাম। বাংলাদেশ থেকে এই প্রোগ্রামে আবেদন করে অতিদ্রুত কানাডায় স্থায়ী হওয়া যায়।

কেয়ারগিভার প্রোগ্রাম  

এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ছয় মাসের মধ্যে পরিবারসহ কানাডায় স্থায়ী হওয়া সম্ভব। শুধু প্রশিক্ষিত নার্সরা এই প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারবেন। অন্য সব প্রচলিত প্রোগ্রামের মতো ৬৭ পয়েন্ট বা সিআরএস ১২০০ পয়েন্টের প্রয়োজন নেই। যাদের নার্সিং ডিপ্লোমা বা বিএসসি ইন নার্সিং ডিগ্রি রয়েছে এবং ন্যূনতম IELTS পয়েন্ট ৫ আছে, তারাই সরাসরি আবেদন করে চাকরিসহ কানাডায় যাওয়ার সুযোগ পাবেন।

এ ছাড়া তথ্যপ্রযুক্তি খাতের পেশাজীবী, প্রকৌশলী, ব্যবস্থাপক, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বা এইচ আর, ফিন্যান্স, মার্কেটিং, অ্যাকাউন্টিং, ইনফরমেশন সিস্টেম এনালাইসিস অ্যান্ড কনসালট্যান্ট, মিডিয়া ডেভেলপার, মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গ্রাফিক ডিজাইনার, চিকিৎসক, নার্স, ফার্মাসিস্ট ও ব্যাংকারদের মতো পেশাজীবীদের আবেদন করার সুযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক অভিবাসনবিষয়ক আইন বিশেষজ্ঞ ও  বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ রাজু জানান, প্রকৃত যোগ্যতাসম্পন্নদের উচিত এ বছরের শুরুতেই আবেদন করা। কারণ কানাডা সরকারের সিলেকশনের প্রথম পলিসি হচ্ছে- আগে আসলে আগে পাবেন। তবে অযোগ্য ব্যক্তিরা অযথাই আবেদন করে দেশের ভাবমূর্তি যেন নষ্ট না করেন, সেদিকেও লক্ষ রাখার পরামর্শ দেন তিনি।

কানাডায় অভিবাসন সংক্রান্ত যে কোনো পরামর্শের প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন আইনজীবী এবং ওয়ার্ল্ডওয়াইড মাইগ্রেশন কনসালট্যান্টস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ রাজুর সঙ্গে।

এ ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্ত পাঠাতে পারেন এই ই-মেইল info@worldwidemigration.org ঠিকানায়। এ ছাড়া যোগাযোগ করতে পারেন হোয়াটসঅ্যাপ অথবা ভাইবারে +৬০১৪৩৩০০৬৩৯ নম্বরে। এ ছাড়া ভিজিট করুন www.wwbmc.com. ওয়েবসাইটে।

ঢাকার ওয়ার্ল্ডওয়াইড মাইগ্রেশন লিমিটেডের কার্যালয় উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের ৫১ সোনারগাঁও জনপথে অবস্থিত খান টাওয়ারে। সেখানে সশরীরে গিয়ে আলোচনা করতে পারেন কানাডায় কেয়ারগিভার হিসেবে আবেদন করতে ইচ্ছুকরা। প্রাথমিক যেকোনো তথ্যের জন্য ফোন করতে পারেন ০১৯৬৬০৪১৫৫৫, ০১৯৬৬০৪১৯৯৯, ০১৯৬৬০৪১৮৮৮ এবং ০১৯৬৬০৪১৩৩৩ নম্বরগুলোতে।