গোবিন্দগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্ত আদিবাসীদের পুনর্বাসন দাবি

Looks like you've blocked notifications!
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার রাজশাহীতে ১০ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ। ছবি : এনটিভি

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহীতে আয়োজিত কর্মসূচি থেকে ক্ষতিগ্রস্ত আদিবাসীদের পুনর্বাসনসহ ১০ দফা দাবি জানানো হয়।

নগরীর কামারপাড়ায় মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি নগরীর কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে বক্তারা জানান, গোবিন্দগঞ্জে আক্রান্ত আদিবাসীদের বিরুদ্ধে করা সব মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার ও হয়রানি বন্ধ করতে হবে। নষ্ট হওয়া ক্ষেতের ফসল, পুকুরের মাছের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। হামলায় নিহত, আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে ও পুনর্বাসন করতে হবে। পুড়ে যাওয়া বাসস্থান, স্কুল ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান অবিলম্বে তৈরি করে দিতে হবে। ফার্ম এলাকার আদিবাসীদের বসত ঘেঁষা কাঁটাতারের বেড়া তুলে দিতে হবে।

সমাবেশ থেকে আরো দাবি জানানো হয়, আদিবাসীদের ওপর হামলার পরিকল্পনাকারী, ইন্ধনদাতা ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণসহ তাদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। পক্ষপাতদুষ্ট ইউএনও এবং ওসিকে অবিলম্বে প্রত্যাহার ও শাস্তি দিতে হবে। সাঁওতালদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগকারী পুলিশ ও তাদের নির্দেশ দানকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। রংপুর চিনিকল অচল হয়ে যাওয়ার পর সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্মের জমিকে রিকুইজিশনের শর্ত ভঙ্গ করে ইজারা দেওয়ার মিল কর্তৃপক্ষের অবৈধ কাজ ও দুর্নীতির তদন্ত করতে হবে। ১৯৬২ সালের চুক্তির ধারা মোতাবেক যেসব পরিবারের জমি রিকুইজিশন করা হয়েছিল তাদের কাছে আগের ভূমি আইনি অধিকারসহ ফিরে দিতে হবে।  

জাতীয় আদিবাসী পরিষদ রাজশাহী শাখার সভাপতি বিমল চন্দ্র রাজোয়ারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেন, সাধারণ সম্পাদক সবীন চন্দ্র মন্ডা, উদীচীর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সুজিত সরকার, মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের সহসাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, মহিলা পরিষদের সভাপতি কল্পনা রায় ও আদিবাসী পরিষদের দপ্তর সম্পাদক সুবাস চন্দ্র হেমব্রম প্রমুখ।