কুষ্টিয়ায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ একজন নিহত

Looks like you've blocked notifications!
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুরে গতকাল দিবাগত রাতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আমিরুল ইসলাম আমির (৪৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হন। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রাখা হয়। ছবি : এনটিভি

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আমিরুল ইসলাম আমির (৪৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে আলামপুরে আটমাইল গোরস্তানের কাছে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত আমিরের বাড়ি কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমবাড়িয়া গ্রামে। তাঁর বাবা প্রয়াত মোসলেম উদ্দিন। তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

পুলিশের ভাষ্য, বন্দুকযুদ্ধে তাদের দুই সদস্য আহত হয়েছেন। বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দেশে তৈরি একটি এলজি, তিনটি গুলি, একটি করাত ও একটি হাঁসুয়া। 

পুলিশের দাবি, আমির গণবাহিনীর নেতা কসাই সিরাজের ছোট ভাই। তিনি আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য।

কুষ্টিয়া পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক সাব্বিরুল আলম জানান, কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের আলামপুরে একদল লোক ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে পুলিশ। সেই সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি ও আলামপুর ক্যাম্প পুলিশের যৌথ দল ঘটনাস্থলে যায়। ওই সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ‘ডাকাতদল’ পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পরে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এই গোলাগুলি চলে আধা ঘণ্টা। 

সাব্বিরুল আরো জানান, গোলাগুলির একপর্যায়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন আমিরুল ইসলাম। আহত হন পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সোহাগ মিলন ও কনস্টেবল হুমায়ুন কবির।