শাওনের সঙ্গে মাসখানেক সংসার করেন মাহি!

Looks like you've blocked notifications!

চিত্রনায়িকা মাহির সঙ্গে শাওনের বিয়ে টিকেছিল ‘মাসখানেক’। এরপর তাঁরা ‘আলাদা বসবাস’ করতে শুরু করেন। আজ বৃহস্পতিবার আদালতে দাখিল করা পুলিশের প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

মাহির করা মামলায় আজ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোহরাব মিয়া। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘মাহির সাথে শাওনের বিয়ে হয়েছিল এবং তার কাগজপত্র আমি জব্দ করে সাক্ষীদের সাক্ষ্য নিয়েছি।’

এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলামও এই তথ্য এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিয়ের মাত্র মাসখানেকের মধ্যে বাদী শারমিন আক্তার নিপা (মাহিয়া মাহি) চলচ্চিত্রে কাজ শুরু করলে বিবাদীর (শাওন) সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন এবং আলাদাভাবে বসবাস শুরু করেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, মাহির স্বামী দাবিদার শাওনকে গত বছরের ৫ জুন বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম শামসুল আলম জামিন দেন। আদালতে দুজনের পক্ষ থেকে আপস মীমাংসার কথা বলা হলে আদালত জামিন দেন।

ওই সময় মাহির বাবা ও শাওনের বাবার মধ্যে একটি আপসনামা হয়। ওই দিন বেলা ৩টার দিকে মাহির উত্তরার বাসায় উভয় পরিবারের লোকজনের উপস্থিতিতে ৩০০ টাকার দলিলে এই আপসনামা স্বাক্ষরিত হয়। আপসনামায় স্বাক্ষর করেন মাহির বাবা আবু বকর এবং শাওনের বাবা নজরুল ইসলাম। সাক্ষী ছিলেন শাওনের বড় চাচা আবুল হাশেম ও ছোট চাচা মাহমুদুল হাসান। আপসনামাটি মো. ইকবাল হোসেনকে দিয়ে নোটারি পাবলিক করা হয়েছে। তাঁর চেম্বার দেখানো হয়েছে- হলরুম-১, সুপ্রিম কোর্ট বাংলাদেশ। নোটারি সিরিয়াল-৩৩ এবং তারিখ ৫-৬-২০১৬।

এর আগে গত বছরের ২৮ মে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন নায়িকা মাহি। অভিযোগটি তিনি করেন শাওনের বিরুদ্ধে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতেই শাওনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তারের সময় গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ শাওনের দক্ষিণ বাড্ডার বাসা থেকে কম্পিউটার জব্দ করে।

নায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুর বিয়ের পরের দিন থেকেই কয়েকটি গণমাধ্যমে মাহির ‘একাধিক বিয়ে-সংক্রান্ত’ কিছু ছবি প্রকাশ হতে থাকে। সেখানে ছবি প্রকাশের পাশাপাশি দাবি করা হয়, এর আগেও একাধিকবার মাহির বিয়ে হয়েছে।

ছবি প্রকাশের পর থেকে আলোচনার ঝড় ওঠে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে। বিষয়টি নজরে এলে নায়িকা মাহি বলেন, তিনি আইনের আশ্রয় নেবেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার সংসার ভাঙার জন্য কেউ আমার পিছু লেগেছে।’

গ্রেপ্তার হওয়া শাওনের বাবা নজরুল ইসলাম গুলশানের একজন ব্যবসায়ী। শাওন স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। শাওন দাবি করেন, নায়িকা মাহি তাঁর ভালো বন্ধু ছিলেন। ফেসবুকে মাহির সঙ্গে অনেক ছবিও পোস্ট করেন শাওন।