সাংবাদিক শিমুল হত্যা

মেয়র মিরুর রিমান্ড শুনানি ১৩ ফেব্রুয়ারি

Looks like you've blocked notifications!
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হালিমুল হক মিরুকে আজ মঙ্গলবার আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করে পুলিশ। ছবি : এনটিভি

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হালিমুল হক মিরুর রিমান্ড শুনানির দিন আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি ধার্য করা হয়েছে। তিনি দৈনিক সমকালের সাংবাদিক আবদুল হাকিম শিমুল হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলার প্রধান আসামি।

আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিমুল হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম গ্রেপ্তার হওয়া মেয়র মিরুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে শাহজাদপুর উপজেলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম হাসিবুল হকের আদালতে আবেদন করেন। বিচারক আবেদনটি আমলে নিয়ে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি শুনানির দিন ধার্য করেন।

শাহজাদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, এই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া পৌর মেয়র মিরুর দুই ভাই ছাত্রলীগ নেতা হাসিবুল হক পিন্টু ও পাবনা জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল হক মিন্টুসহ আট আসামির রিমান্ড শুনানি একই দিন অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার শ্যামলী এলাকা থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের সহায়তায় সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা মেয়র হালিমুল হক মিরুকে গ্রেপ্তার করেন। গতকাল সোমবার বিকেলে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ২ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১টার দিকে শাহজাদপুর পৌরসভার মেয়র হালিমুল হক মিরুর ছোট ভাই হাসিবুল হক পিন্টু শাহজাদপুর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বিজয় মাহমুদকে মারপিট করেন। পরে মেয়রের বাসা থেকে পুলিশ পিন্টুকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। বিজয় মাহমুদকে মারপিটের ঘটনার প্রতিবাদে ওই দিন বিকেলে এলাকাবাসী মহাসড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি মেয়রের বাসার সামনে পৌঁছালে কয়েকজন লোক মেয়রের বাসা লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়ে।

একপর্যায়ে মেয়র তাঁর ব্যক্তিগত শটগান থেকে গুলিবর্ষণ করেন।

এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, গুলি ও হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে দৈনিক সমকালের শাহজাদপুর প্রতিনিধি আবদুল হাকিম শিমুলসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়।

গুরুতর আহত সাংবাদিক শিমুলকে প্রথমে শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৩ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বগুড়া থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে দুপুর ১টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড় এলাকায় সাংবাদিক শিমুল মারা যান।