ব্যবসায়ীদের ক্রসফায়ারের হুমকি, এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা

Looks like you've blocked notifications!
বরিশাল মহানগরের কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক মো. মহিউদ্দিন। ছবি : সংগৃহীত

বরিশালে জমি ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদা দাবি ও ক্রসফায়ারের হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে পুলিশের এক উপপরিদর্শকসহ (এসআই) পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। 

আজ বুধবার বরিশাল মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলা করেন নগরীর রূপাতলী গ্যাসটারবাইন এলাকার রিপন মৃধা। বিচারক মো. আলী হোসাইন মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের জন্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুর রহমানকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলায় বরিশাল মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মহিউদ্দিনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। বাকি চারজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। 

মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বেঞ্চ সহকারী শাখাওয়াত হোসেন জানান, মামলার বাদী রিপন মৃধা, একই এলাকার রিপন আকন ও আফজাল হোসেন জমিজমার ব্যবসা করেন। এজন্য এসআই মো. মহিউদ্দিন তাঁদের কাছে তিন লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তাঁরা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাঁদের মিথ্যা মামলায় দেওয়ার পাশাপাশি ক্রসফায়ারের হুমকি দেন এসআই। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালের ১৯ অক্টোবর জমি ব্যবসায়ী আফজাল হোসেন ও ২৭ অক্টোবর রিপন আকনকে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাঁদের থানায় নিয়ে সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলিয়ে মারধর করেন। এমনকি তাঁদের নাকে-মুখে গরম পানি ঢালেন। পরে শেখানো স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদালতে দিতে বাধ্য করা হয়। এ ছাড়া মিথ্যা অভিযোগে করা মামলার আসামি দেখিয়ে ২৯ অক্টোবর জবানবন্দি দেওয়ার জন্য আদালতে পাঠান এসআই মহিউদ্দিন। একই সঙ্গে তাঁর শেখানো জবানবন্দি আদালতে না দিলে ক্রসফায়ারে হত্যার হুমকি দেন।
 
কোতোয়ালি মডেল থানা সূত্র ও থানাধীন একাধিক বাসিন্দা জানান, মহিউদ্দিন এএসআই হিসেবে থানায় যোগ দেওয়ার পর থেকে পুলিশি ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন অপকর্ম করেন। এই কারণে সবাই তাঁকে বড় পুলিশ অফিসার নাম দেয়। মহিউদ্দিন থানাধীন বরিশাল মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে অতি উৎসাহী হয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং শিক্ষার্থীদের মারধর করেন। এই ঘটনায় তাঁকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পদোন্নতি পেয়ে তিনি এসআই হন। তাঁকে পুনরায় কোতোয়ালি মডেল থানায় দায়িত্ব দেওয়া হয়। থানার ডিউটি অফিসারের দায়িত্ব পালনের সময় মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) ও মামলার নামে ঘুষ গ্রহণ এবং দুর্ব্যবহারের বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় তাঁর ব্যক্তিগত শত্রুদের থানায় এনে নির্যাতন করার একাধিক অভিযোগ রয়েছে।