চাঁদাবাজি, ডাকাতির প্রতিবাদে আট জেলায় নৌ ধর্মঘট
নৌপথে নিরাপত্তা দাবি এবং চাঁদাবাজি ও ডাকাতির প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জসহ আট জেলায় নৌযান ধর্মঘট চলছে। জেলাগুলো হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, সিলেট ও ঢাকা।
বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পূর্বাঞ্চলীয় মালিক সমিতির সভাপতি নাজমুল হোসাইন হামদু এনটিভি অনলাইনকে বলেন, নৌপথে পুলিশের চাঁদাবাজি এখন নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। নারায়ণগঞ্জের বৈদ্যের বাজার, আড়াইহাজার উপজেলার খাদখান্দা, নরসিংদীর নুনের টেক, পাউরুটির চর, নেত্রকোনার সাঁওতাল, সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা, সিলেটের জাফলং, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ ও সলিমগঞ্জ, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের দুলালপুরসহ ২২টি স্পটে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি হচ্ছে পুলিশ ও বিভিন্ন সংগঠনের নামে।
তা ছাড়া নৌপথে এক-দুই দিন পর পর ডাকাতি হলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় নৌযান মালিক-শ্রমিক একজোট হয়ে আজ সোমবার সকাল থেকে অবিরাম ধর্মঘট পালন শুরু হয়েছে। নৌযানের নিরাপত্তা, পুলিশের চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত অবিরাম ধর্মঘট চলবে বলেও জানান নাজমুল হোসাইন হামদু।
এ ব্যাপারে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক হাবিবুল্লাহ বাহার মাস্টার বলেন, নৌযানের কোনো নিরাপত্তা নেই। প্রতিদিন চাঁদাবাজি করছে পুলিশ ও বিভিন্ন সংগঠন। কিন্তু পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। উল্টো জাহাজের শ্রমিকদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে পুলিশ। যত দিন নৌপথের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হবে তত দিন ধর্মঘট চলবে।
নৌযান ধর্মঘট ডাকায় অন্তত দেড় শতাধিক কার্গো আশুগঞ্জ বন্দরে আটকা পড়েছে। কোনো কার্গো জাহাজ থেকে মালামাল উঠানামা করছে না।
এদিকে নৌপুলিশ ভৈরব জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মধুসূদন দত্ত বলেন, ‘সন্ধ্যায় নৌযান শ্রমিক ও নৌযান মালিকদের সাথে সভা হওয়ার কথা রয়েছে। আশা করছি, বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান বের হবে।’