রাজধানীতে মাংস বিক্রি বন্ধ করে ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ

Looks like you've blocked notifications!
রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে গত সোমবার থেকে বন্ধ রয়েছে গরু ও খাসির মাংস বিক্রি। ছবি : এনটিভি

চাঁদাবাজি ও নির্ধারিত হারের বেশি হাসিল আদায়ের প্রতিবাদে ধর্মঘট পালন করছেন রাজধানীর মাংস ব্যবসায়ীরা। এর পর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে গরু ও খাসির মাংস বিক্রি কার্যত বন্ধ রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ভোক্তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গাবতলীর গরুর হাটের ইজারাদারের অতিরিক্ত খাজনা আদায়, চাঁদাবাজি বন্ধ করাসহ কয়েকটি দাবিতে গত সোমবার থেকে রাজধানীর মাংস ব্যবসায়ীরা ছয় দিনের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন।

এর পর কোনো কোনো বাজারে স্বল্প পরিসরে মাংস বিক্রি ও অস্থায়ী ব্যবসায়ীদের কাছে মাংস পাওয়া গেছে। তবে চাহিদার তুলনায় তা অপ্রতুল। এই অচলাবস্থায় বড় প্রভাব পড়েছে খাবার হোটেলসহ বাসাবাড়ির ছোট-বড় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মাংস বাজারে প্রতিদিনের মতো নেই জমজমাট বিকিকিনি, নেই কোনো হাঁকডাক। নিজেদের ব্যবসার ক্ষতি হলেও ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেশি দামে গরু-ছাগল কিনে লাভ করতে পারেন না তাঁরা।

কারওয়ান বাজারে এক মাংস ব্যবসায়ী জানান, গাবতলী হাটে অতিরিক্ত হাসিল আদায় ও চাঁদাবাজির কারণে মাংস বেচে লাভ হয় না তাঁদের। এ ছাড়া চামড়ার দামও কম হওয়ায় অসুবিধায় পড়েছেন তাঁরা।

এদিকে ধর্মঘটের মধ্যে যাঁরা মাংস কিনতে এসেছেন, তাঁরা পড়েছেন বিপাকে। আর এর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে রাজধানীর হোটেলগুলোতে।

মাংস কিনতে আসা কয়েকজন ব্যক্তি জানান, বাজারে গরু বা খাসির মাংস কিছুই নেই। বাড়িতে মেহমান এলে বা কোনো অনুষ্ঠানে শুধু মুরগির মাংস দিয়ে চলে না। এই ধর্মঘট চলতে থাকলে সমস্যায় পড়বেন তাঁরা।

সপ্তাহব্যাপী ধর্মঘট চলবে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত। রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দুই সিটি করপোরেশনের সঙ্গে মাংস ব্যবসায়ী সমিতির বৈঠকের পর নতুন কর্মসূচি নেওয়া হবে বলে জানান মাংস ব্যবসায়ীরা।