নেতাদের ‘ফোন নম্বর না থাকায়’ ছাত্রলীগকর্মীকে ‘মারধর’

Looks like you've blocked notifications!

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ফোন নম্বর মুঠোফোনে সংরক্ষণ না করায় সংগঠনের এক কর্মীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মাদার বখশ হলের গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেছেন অপরপক্ষের নেতাকর্মীরা।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ওই হলে দুটি ফাঁকা গুলির শব্দ হয়েছে বলেও জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগকর্মী আবদুস সালামকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সংগঠনের গত কমিটির সহ-সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে।

তবে সাদ্দাম হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আবদুস সালাম মাদার বখশ হলে অবৈধভাবে থাকছে। সে ওই হলের শিক্ষার্থী নয়। তাই বিষয়টি তার কাছে জানতে চাওয়ায় সে খারাপ ব্যবহার করে।’

হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাত সাড়ে ১১টার দিকে হল গেটে তালা ঝুলিয়ে ৩৫-৪০ জন নেতাকর্মী নিয়ে অবস্থান নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য সাকিবুল হাসান বাকি। বিষয়টি জানাজানি হলে নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এরপর রাত দেড়টার দিকে হলের তৃতীয় ব্লক থেকে পরপর দুটি গুলির শব্দ শোনা যায়।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য সাকিবুল হাসান বাকি বলেন, ‘গত রাত ১১টার দিকে বর্তমান সভাপতি গ্রুপের প্রায় ২০-২৫ ছেলে মাদার বখশ হলের অতিথি কক্ষে বৈঠক করেন। সেখানে তারা আমার বিভাগের ছোট ভাই আবুদস সালামের মুঠোফোনে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ফোন নম্বর দেখতে চান। কিন্তু ওই সময় মুঠোফোনে তাঁদের নম্বর সংরক্ষণ না থাকায় তাঁকে মারধর করা হয়। বিষয়টি জানতে পেরে আমি সেখানে গিয়ে তাঁদের কাছে সালামকে মারার কারণ জানতে চাই।’

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘রাতে মাদার বখশ হলের নেতাকর্মীরা তাঁদের সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল করার জন্য অতিথি কক্ষে বসে। ওই সময় একটা ছেলের সঙ্গে তাঁদের ভুল বোঝাবুঝি হয়। সাকিবুল হাসান বাকি বিষয়টি শুনতে পেয়ে বহিরাগত ছেলে নিয়ে ওই হলের নেতাকর্মীদের ভেতরে আটকে রেখে হলের বাইরে অবস্থান নেয়। পরে আমি ও সাধারণ সম্পাদক সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি।’

তবে গুলির বিষয়টি সভাপতি গোলাম কিবরিয়া এবং সাকিবুল হাসান বাকি দুজনেই অস্বীকার করেছেন।