জয়পুরহাটে মন্দিরের মূর্তি চুরি, বইপত্রে আগুন
জয়পুরহাটের সদর উপজেলার বেলআমলা মহল্লার প্রাচীন বারো শিবালয়ের রাধাগোবিন্দ মন্দিরের পিতলের দুটি গণেশ মূর্তি চুরি হয়েছে। এ সময় দুর্বৃত্তরা মন্দিরের বইপত্র পুড়িয়ে দিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের কোনো একসময় এ ঘটনা ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে আজ শুক্রবার সকালে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বিকেল পর্যন্ত এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়নি।
মন্দির কমিটির কর্তৃপক্ষ জানান, আজ সকালে নিয়মিত পূজা করতে গিয়ে মন্দিরের পূজারি শিতু মহন্ত প্রথমে বিষয়টি জানতে পারেন। পরে তিনি মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক অনিল কুমার আগরওয়ালাকে খবর দিলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
আগামী ২৪ ও ২৫ ফেব্রুয়ারি মন্দির প্রাঙ্গণে প্রতিবছরের মতো শিবরাত্রি পূজা ও যজ্ঞ এবং শ্রীশ্রী রাধাগোবিন্দ ভোগ ও কালীপূজা উপলক্ষে মেলা অনুষ্ঠিত হবে। এর ঠিক আগ মুহূর্তে এ ধরনের নাশকতামূলক ঘটনা মন্দির কমিটি ও ভক্তদের আতঙ্কিত করে তুলেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের কোনো একসময় মন্দিরের কলাপসিবল গেটের তালা ভেঙে দুর্বৃত্তের দল মন্দিরের থাকা ৫০০ গ্রাম ওজনের দুটি পিতলের তৈরি গণেশ মূর্তি ও দুটি কাঁসার থালা ও গ্লাস নিয়ে পালিয়ে যায়।
আজ দুপুরে মন্দিরে গিয়ে দেখা যায়, মন্দিরের পূর্ব পাশে রাধাগোবিন্দের মন্দির, মন্দিরের মেঝেতে কাগজ পোড়ানোর ছাই। প্রচারপত্রের কিছু অংশ পোড়াবস্থায় পড়ে রয়েছে।
মন্দিরের পূজারি শিতু মহন্ত জানান, তিনি সকাল ৭টার দিকে মন্দিরে পূজা করতে এসে এ অবস্থা দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে তিনি বিষয়টি মন্দির কমিটিকে জানান।
মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক অনিল কুমার আগরওয়ালা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অশোক পোদ্দার, সহ-যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ বাজলা জানান, এর আগেও মন্দিরে চুরি হয়েছে। কিন্তু কোনোদিন ধর্মীয় বই ও প্রচারপত্র পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি। বইপত্রে আগুন দেওয়ায় তাঁরা আতঙ্কিত। মন্দিরে আরো অনেক জিনিস থাকলেও তা নেয়নি দুর্বৃত্তরা। এ ব্যাপারে মামলা হবে বলে জানায় মন্দির কর্তৃপক্ষ।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন জানান, থানায় এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। জড়িতদের খুঁজে বের করতে পুলিশি অভিযান শুরু হয়েছে।