গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতি পেতে চেষ্টা করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : এনটিভি

২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য চেষ্টা করে যেতে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ সোমবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘একুশে পদক-২০১৭’ প্রদান অনুষ্ঠানে সরকারপ্রধান এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘২৫ মার্চকে একটা গণহত্যা দিবস হিসেবে আমাদের গ্রহণ করা এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পাওয়ার আমাদের প্রচেষ্টা চালাতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, সেই সময়ে যে জঘন্য ঘটনা, তারা (পাকিস্তানি) দিনের পর দিন এ দেশের মানুষকে হত্যা করেছে। আবার ৩০ লক্ষ শহীদ হয়েছে, দুই লক্ষ মা-বোন ইজ্জত দিয়েছে। এটা প্রতিষ্ঠিত সত্য।’

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের দেশের কোনো কোনো রাজনৈতিক নেতা, আমি নাম ধরেই বলতে চাই : বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া কিছুদিন আগে বলেছিল, ৩০ লক্ষ শহীদ মৃত্যুবরণ করেন নাই, শাহাদাত হন নাই। এটার সংখ্যা নাকি ঠিক না। এর থেকে লজ্জার আর কী হতে পারে? এর থেকে জঘন্য কথা আর কিছু হতে পারে না। আমার মনে হয়, পাকিস্তানের অপপ্রচার এবং তারই এ বক্তব্যে কোনো সূত্র আছে কি না, আমি জানি না। কিন্তু মনে হচ্ছে যেন একই সুরে তিনি কথা বলার চেষ্টা করছেন এবং শহীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা এবং শহীদদের প্রতি অবমাননা করা ছাড়া আর কিছুই না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কত বড় গণহত্যা হয়েছিল, সেটার চিহ্ন আছে সারা বাংলাদেশে। বাংলাদেশে এমন কোনো পরিবার নাই, যে পরিবারে কেউ জীবন দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে জীবন দিয়েছে এবং দেশের অভ্যন্তরে গণহত্যা, গ্রামের পর গ্রাম আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া এসব ঘটনা সকলের জানা। কাজেই সেটা নিয়ে প্রশ্ন করা বাঙালি জাতির প্রতি চরম অবমাননা।’

শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘একটা জিনিস আমরা লক্ষ করছি, পাকিস্তানিদের ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়নি। তারা কিছুদিন আগে একটা পুস্তক বের করে। ২৫ মার্চ যে গণহত্যা শুরু করেছিল, সেই গণহত্যার ছবিগুলিতে এই হত্যাকাণ্ড যে পাকিস্তানি বাহিনী শুরু করেছিল এবং তাদের সাথে পরবর্তীতে যোগ দেয় রাজাকার বাহিনী, আলশামস বাহিনী ও দেশি কিছু কুলাঙ্গার। দুর্ভাগ্য যে আমরা দেখতে পাচ্ছি, তারা নতুনভাবে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।’ তিনি বলেন, ‘গণহত্যার ছবিতে সেইগুলি মুক্তিযোদ্ধারা হত্যা করেছে, সেই ক্যাপশন দিয়ে এবং সেই রিপোর্ট তৈরি করে সব জায়গায় বিলি করার চেষ্টা করছে। এখন আমরা স্বাধীন দেশ। অর্থনৈতিকভাবে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। বিশ্বে বাংলাদেশ একটা রোল মডেল। বিশ্বে বাংলাদেশ একটা মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে, সেই সময়ে এ ধরনের অপপ্রচার এখনো তারা করে যাচ্ছে, এটা কারো কাছেই গ্রহণযোগ্য না।’