মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তারের পর চাইলেন ক্ষমা

Looks like you've blocked notifications!
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলায় মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার আবদুল মালেক হাওলাদার আজ সোমবার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাত জোড় করে ঘটনার জন্য ক্ষমা চান। ছবি : এনটিভি

পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলায় মাদ্রাসায় পড়ুয়া চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১০) ধর্ষণের অভিযোগে আবদুল মালেক হাওলাদার (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার পারসাতুরিয়া গ্রামে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে আবদুল মালেককে গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ সোমবার বেলা ১২টার দিকে পিরোজপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) ওয়ালিদ হোসেন তাঁর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জানান, গত শনিবার দুপুর ২টার দিকে ওই মাদ্রাসাছাত্রীকে বাড়ির পাশের একটি কলাবাগানে ডেকে নিয়ে যান আবদুল মালেক। সেখানে নিয়ে তাকে জোর করে ধর্ষণ করেন মালেক। এরপর ধর্ষণের কথা কাউকে বলতে নিষেধ করেন তিনি। রোববার মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানতে পারে।

এসপি আরো জানান, এ ঘটনায় রোববার রাত ১০টার দিকে মেয়েটির মা বাদী হয়ে কাউখালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করার জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আবদুল মালেক হাওলাদার উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে হাত জোড় করে ক্ষমা চান। কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, ‘আমাকে মাফ করে দেন।’