আ. লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ, চারজন গুলিবিদ্ধসহ আহত ১৫

Looks like you've blocked notifications!
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বালিদিয়া গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আজ সোমবার আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের লোকজন দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ায়। ছবি : এনটিভি

মাগুরায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় চারজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার সকাল থেকে মহম্মদপুর উপজেলার বালিদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১০৮টি রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশের গুলিতে এক নারীসহ চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ সাতজনকে আটক করেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তরীকুল ইসলাম জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বালিদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান মিনা এবং ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ইউনুস শিকদারের সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। এর জের ধরে সোমবার সকাল থেকে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।

গুলিবিদ্ধ চারজন হলেন জাকির হোসেন (৪০), নাজমুল (২০), ইতি খাতু (৩০) ও আজগর (৩০)। আহত অন্যরা হলেন মো. মিল মিয়া (৫২), আতিয়ার মোল্লা (৪৩), ফিরোজ মৃধা (৫০), উমর শিকদার (৩০), বকুল মোল্লা (৬০) ও মোস্তফা (৫০)। তাঁদের মাগুরা সদর হাসপাতাল ও মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

এদিকে, সংঘর্ষ চলাকালে গ্রামের আসির ফকিরের দুটি, মফিজ মিনহার দুই, সাইদ মিনহার চার, নবীর মিনহার এক, এনামুলের তিন, তোয়াক্কেল হোসেনের তিন, উসমান মিনহার দুই, ইস্রাফিল মিনহার দুই, আতর মিনহার এক, হারুন মিনহার এক, ইসহাক মিনহার এক, আলিম মিনহার এক, মাসুদ মিনহার দুই, বাবু মিনহার দুই, দলিল উদ্দিন মিনহার এক, হারুন মিনহার পাঁচ, কামাল মিনহার দুটি, জামাল মিয়ার দুটি, খায়রুল মিনহার এক, আলমগীর সিনহার এক, গোলাপ শেখের দুই, চান্দু মোল্লার চার, নান্নু মিনহার চার, উজ্জল মিনহার এক, ইউনুস সর্দারের দুই, বাদশাহ মোল্লার দুটি এবং এলেম মিয়ার একটিসহ অন্তত ৫৪টি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা মফিজুর রহমান মিনা বলেন, ‘ইউনুস শিকদারের লোকজন পূর্বপরিকল্পিতভাবে বাজারে আমার এক সমর্থকের দোকানঘর দখলের জন্য আজ সকালে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে দোকানঘর ভাঙচুর করে। পরে তারা বাড়িঘরে ভাঙচুর চালায়। পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।’

এ বিষয়ে জানতে ইউনুস শিকদারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

এদিকে, মাগুরা পুলিশ সুপার মো. মুনিবুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনার পর থেকে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে ওই গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে।