অভিজিৎ হত্যা : দুই বছরেও দাখিল হয়নি তদন্ত প্রতিবেদন

Looks like you've blocked notifications!

বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার তদন্ত প্রায় দুই বছরেও শেষ হয়নি। দীর্ঘ এ সময়ে মামলার তদন্ত শেষ করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা।

আজ বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম খুরশীদ আলমের আদালতে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) ফজলুর রহমান তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এ জন্য বিচারক ফের ২৭ মার্চ দিন ধার্য করেছেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মাহমুদুর রহমান বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন।

গত ৩১ জানুয়ারি বাংলা একাডেমি ও বইমেলা প্রাঙ্গণ পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘খুব শিগগির অভিজিৎ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, এ মামলায় আটজনকে গ্রেপ্তার করা ছাড়াও কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে। মূল আসামি মুকুল রানা গত বছরের ১৯ জুন ভোরে খিলগাঁওয়ের মেরাদিয়া বাঁশপট্টি এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।

এ ঘটনার পরে পুলিশ সংবাদমাধ্যমে একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে। সেখানে অভিজিৎ ও তাঁর স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাকে অনুসরণকারী হিসেবে এক যুবককে চিহ্নিত করে বলা হয়, এই যুবকই নিহত মুকুল। এই মুকুলসহ ছয়জনকে ধরিয়ে দিতে এর ঠিক এক মাস আগে পুরস্কার ঘোষণা করে ডিবি।

নথি থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় অভিজিৎকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় অভিজিতের স্ত্রী বন্যাও গুরুতর আহত হন।

এ ঘটনায় অভিজিতের বাবা অধ্যাপক অজয় রায় বাদী হয়ে ২৭ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন। হত্যাকাণ্ডের তদন্তে পুলিশকে সহায়তা করতে ঢাকায় আসে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)।

এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা সবাই আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সদস্য বলে দাবি করে পুলিশ।

আবার চট্টগ্রাম থেকে আটক ব্লগার শফিউর রহমান ফারাবী এবং অনন্ত বিজয় দাস খুনের আসামি মান্নান ইয়াহিয়া ওরফে মান্নান রাহীর বিরুদ্ধে অভিজিৎ হত্যায় প্ররোচণার অভিযোগ আনা হয়েছে।

গ্রেপ্তার অন্য ছয়জন হলেন ব্রিটিশ নাগরিক তৌহিদুর রহমান, সাদেক আলী, আমিনুল মল্লিক, জুলহাস বিশ্বাস, আবুল বাশার ও জাফরান হাসান।