রাগীব আলীর প্রতারণা মামলার রায় ২৬ ফেব্রুয়ারি
প্রতারণার মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার তারাপুর চা বাগানের ভূমি আত্মসাতের অভিযোগে ব্যবসায়ী রাগীব আলী ও তাঁর ছেলে আবদুল হাইসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতের বিচারক সাইফুজ্জামান হিরো রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেন।
আদালতে সরকারপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) মাহফুজুর রহমান জানান, মামলার ৩৩ সাক্ষীর মধ্যে ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেন বিচারক।
যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে রাগীব আলীর পক্ষে কোনো আইনজীবী অংশ না নিলেও বাগানের সেবায়েত ও ওই মামলার আসামি পঙ্কজ কুমার গুপ্তের আইনজীবীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, ১৯৯০ সালে ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতি করে প্রতারণার মাধ্যমে ভুয়া সেবায়েত সাজিয়ে তারাপুর চা বাগানের ৪২২ দশমিক ৯৬ একর দেবোত্তর সম্পত্তি দখল করেন রাগীব আলী।
প্রতারণার মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার এই ভূ-সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৫ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি থানায় রাগীব আলীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেন সিলেট সদরের তৎকালীন ভূমি কমিশনার এস এম আবদুল কাদের।
মামলায় রাগীব আলী ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন তাঁর ছেলে আবদুল হাই, মেয়ে রেজিনা কাদির, জামাতা আবদুল কাদির, ঘনিষ্ঠ আত্মীয় দেওয়ান আবদুল মজিদ ও চা বাগানের সেবায়েত পঙ্কজ কুমার গুপ্ত।
গত ২ ফেব্রুয়ারি ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতির মামলার রায়ে রাগীব আলী ও তাঁর ছেলের ১৪ বছরের সাজা হয়েছে।