এমপি লিটন হত্যা মামলায় রানা গ্রেপ্তার

Looks like you've blocked notifications!
গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগের প্রয়াত সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। ছবি : সংগৃহীত

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য (এমপি) মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলায় আমিনুল ইসলাম রানা নামের একজনকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় গাইবান্ধা জেলার পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলাম তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি আরো জানান, এমপি লিটন হত্যায় গ্রেপ্তার হওয়া জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি ডা. কর্নেল (অব.) আবদুল কাদের খানের পরিকল্পনায় আবদুল হান্নান, মেহেদী হাসান, শাহীন ও রানা হত্যাকাণ্ড ঘটায়।

এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে হান্নান, মেহেদী ও শাহীন গাইবান্ধার বিচারিক হাকিম আদালতে ১৬৪ ধারায় এমপি লিটনকে হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। তাঁদের দেওয়া তথ্যমতে, গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে ঢাকা থেকে আমিনুল ইসলাম রানাকে গ্রেপ্তার করে গাইবান্ধার পুলিশ। আজ বিকেলে রানাকে গাইবান্ধার বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করা হয়।

এদিকে এমপি লিটন হত্যায় ব্যবহৃত আরো একটি অস্ত্র উদ্ধারে আজ সকাল থেকে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সাবেক এমপি আবদুল কাদের খানের বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে। কাদেরের দেওয়া তথ্য অনুসারে বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপরহাটি ইউনিয়নের পশ্চিম ছাপরহাটি (খানবাড়ী) গ্রামের বাড়ির আঙিনার উত্তর পাশের দেয়াল ঘেষে মাটির নিচ থেকে ছয়টি গুলিসহ একটি পিস্তুল ও দুটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করেছে।

গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে শাহবাজ (মাস্টারপাড়া) এলাকায় নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। এ ঘটনায় লিটনের বোন তাহমিদা বুলবুল বাদী হয়ে অজ্ঞাত চার-পাঁচজনকে আসামি করে ১ জানুয়ারি সুন্দরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।

ওই হত্যা মামলায় গত মঙ্গলবার বিকেলে বগুড়ার বাসা থেকে আবদুল কাদের খানকে গ্রেপ্তার করে গাইবান্ধার পুলিশ। এ নিয়ে গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশের রংপুর রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) খন্দকার গোলাম ফারুক। ডিআইজি দাবি করেন, ক্ষমতার উচ্চাভিলাষী লোভ এবং আবার সংসদ সদস্য (এমপি) হওয়ার জন্য এমপি লিটনকে হত্যা করা হয়। এক বছর ধরে হত্যার পরিকল্পনা করেন সাবেক এমপি আবদুল কাদের খান। তাঁর অর্থায়নে এমপি লিটনকে হত্যা করা হয়। এমনকি খুনিদের নানা ধরনের আর্থিক সহযোগিতা করে তাদের অস্ত্রের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন কাদের খান।