ভৈরবে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি

‘দুঃসময়ের জন্যে রক্ত সঞ্চয় করুন’ স্লোগানে ভৈরবে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের আয়োজনে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি ‘কোয়ান্টাম ব্লাড ক্যাম্প’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলমান এই কর্মসূচি থেকে শতাধিক ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ হয় বলে জানান আয়োজক সংগঠকরা।
ভৈরব পৌরসভা চত্বরে অনুষ্ঠিত ওই ক্যাম্পের সার্বিক সহায়তায় ছিল পৌর কর্তৃপক্ষ। ডা. আসমা বেগমের নেতৃত্বে পরিচালিত ক্যাম্পে সাতজন প্যারামেডিক ও প্যাথলজিস্ট অংশ নেন। ক্যাম্প থেকে রক্তদাতাদের স্বেচ্ছায় রক্ত গ্রহণকালে ডোনারকার্ড দেওয়া হয়। এই কার্ডের বিনিময়ে তাঁরা প্রয়োজনের সময় রক্তসহ কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন থেকে রক্তের পাঁচটি পরীক্ষা বিনামূল্যে পাবেন বলে জানান আয়োজকরা।
টিম লিডার ডা. আসমা বেগম বলেন, ‘রক্তদান স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। রক্তদান করার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীরের মধ্যে অবস্থিত বোন ম্যারো নতুন কণিকা তৈরির জন্যে উদ্দীপ্ত হয়। দান করার দুই সপ্তাহের মধ্যেই নতুন রক্ত কণিকা জন্ম হয়ে এ ঘাটতি পূরণ করে। আর বছরে তিনবার রক্তদান রক্তদাতার লোহিত কণিকাগুলোর প্রাণবন্ততা বাড়িয়ে দেয়।’
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের ভৈরব সেলের সদস্য কুদরত ই খোদা রবি বলেন, ‘প্রয়োজনের সময় এক ব্যাগ রক্ত জীবন-মরণের সেতু হয়ে দাঁড়ায়। তাই স্বেচ্ছায় রক্তদানে মানুষকে উৎসাহিত করতে আমাদের এই কর্মসূচি।’
স্বেচ্ছায় রক্তদান শেষে ভৈরব শহরের কলেজ রোডের ব্যবসায়ী মো. শরীফ হোসেন বলেন, ‘আমার এক ব্যাগ রক্ত একজন মৃত্যু পথযাত্রীর জীবন বাঁচিয়ে দেবে, এটি ভাবতেই আমার খুব ভালো লাগে। সেই ভালো লাগা থেকেই আমার রক্ত দান করা।’
অপর রক্তদাতা অসীম দাস জানান, এ নিয়ে তিনি পাঁচবার রক্ত দিয়েছেন। মানবতার সেবায় এ অংশগ্রহণ তাঁর বেশ ভালো লাগে বলেই তিনি স্বেচ্ছায় রক্ত দান করে থাকেন। যতদিন সুস্থ থাকবেন, ততদিন রক্ত দান করবেন বলেও জানান তিনি।
২৩ বছর বয়সী যুবক রিদয় আহমেদ এই প্রথমবার রক্ত দান করেন। তিনি জানান, রক্ত দান করতে পেরে তাঁর খুব ভালো লাগছে।