আমাদের ট্যাক্সে আমেরিকা চলে : প্রধানমন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রাজধানীর একটি হোটেলে একটি সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। ছবি : এনটিভি

পোশাক খাতে বিভিন্ন সুবিধা না দেওয়ার অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর করের অর্থে যুক্তরাষ্ট্র চলে।

আজ শনিবার সকালে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁয়ে তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ আয়োজিত ‘ঢাকা অ্যাপারেল সামিট’ শীর্ষক সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম চালিকাশক্তি এখন পোশাক শিল্প।  দেশের রপ্তানি আয়ের সিংহভাগই আসে এই খাত থেকে। ৪০ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থান হচ্ছে পোশাক খাতে যার ৮০ ভাগ-ই আবার নারী। সব মিলিয়ে প্রায় চার কোটিরও বেশি মানুষ এ শিল্পের ওপর পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল।

এই শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ খাতটিকে এগিয়ে নিতে দ্বিতীয়বারের মতো ঢাকা অ্যাপারেল সামিটের আয়োজন করেছে। এতে প্রধানমন্ত্রী পোশাক খাতের অগ্রগতিতে তাঁর সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরে রপ্তানি পণ্য বহুমুখী করার তাগিদ দেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটা বিষয়ে আমাদের লক্ষ করতে হবে, আমাদের পণ্যের, যে রপ্তানি পণ্য, এ রপ্তানি পণ্যে আরো বৈচিত্র্য আনতে হবে। আরো কত ধরনের, শুধু একটার ওপর নির্ভরশীল থাকলে হবে না। যেমন : ইতিমধ্যে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমাদের আইসিটি (তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি)।’

‘আমরা আইসিটি পার্ক করছি, এটা একটা রপ্তানি ক্ষেত্রে আমাদের জন্য বিরাট সুযোগ সৃষ্টি হবে। ঠিক এভাবে আরো নতুন নতুন ক্ষেত্র, নতুন নতুন আইটেম, কোথায় কী ধরনের বাজার, আমাদের ব্যবসায়ী মহলকে সেটাও খুঁজে বের করতে হবে।’

পোশাক খাতে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দুই দফা বৃদ্ধি, নিরাপদ কর্ম পরিবেশ তৈরি, মালিক-শ্রমিক সম্পর্ক উন্নয়নসহ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তবে উন্নত বিশ্বে এ খাতে বাংলাদেশের সুযোগ না বাড়ায় আক্ষেপ করেছেন তিনি।

‘এভরিথিং বাট আর্মস (অস্ত্র বাদে সবকিছু)—এই নীতিতে আমরা ইউরোপিয়ান দেশগুলোতে আমাদের ডিউটি ফ্রি (করমুক্ত) কোটা ফ্রি (কোটা সুবিধা) অ্যাকসেস (সুযোগ) পাই। একমাত্র আমেরিকা আমাদের কোনো দিন দিল না। এলডিসি কান্ট্রি (স্বল্পোন্নত দেশ) হিসেবে আমাদের একটা মানে, অধিকার আছে। কিন্তু সেটা তো দিলই না’, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

‘তার পরও আমি বলব, তবুও আমরা এমেরিকাকে ট্যাক্স দিচ্ছি। আমরা বোধ হয় তিন বিলিয়নের (৩০০ কোটি) মতো রপ্তানি করি। আর সাড়ে ৮০০ মিলিয়ন (৮০ কোটি) ইউএস ডলার আমরা তাদের ট্যাক্স দেই। কাজেই আমাদের ট্যাক্সে আবার তারা চলে’, যোগ করেন সরকারপ্রধান।

২০২১ সালের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তিতে বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

Production should be need-oriented says Prime... by NTV