ন্যায়বিচার পাইনি : সিফাতের মা

Looks like you've blocked notifications!
রায়ের পর আদালত প্রাঙ্গণে কান্নায় ভেঙে পড়েন সিফাতের মা ও ভাবী। ছবি র: এনটিভি

ওয়াহিদা সিফাত হত্যা মামলায় রায়ে ন্যায়বিচার পাননি বলে মন্তব্য করেছেন তাঁর মা ফারজানা ও ভাবী গুলশান নেহা রিতা।

আজ সোমবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক সাঈদ আহমেদ এ রায় দেন। এর পর সিফাতের স্বজনরা সাংবাদিকদের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

মা ফারজানা বলেন, ‘ন্যায়বিচার পাইনি, আমরা উচ্চ আদালতে যাব।’ এ সময় দুজনকে আদালতে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে দেখা যায়। সিফাতের ভাবী চিৎকার করে বলেন, ‘এ রায় পরিকল্পিত রায়। একটি হত্যাকে আত্মহত্যায় পরিণত করা হয়েছে। এ রায়ে আমরা ক্ষুব্ধ।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী সিফাত হত্যা মামলায় স্বামী মোহাম্মদ আসিফ প্রিসলিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারক। এ ছাড়া তিনজনকে খালাস দেন আদালত। তাঁরা হলেন প্রিসলির বাবা অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন রমজান, শাশুড়ি নাজমুন নাহার নাজলী ও প্রথম ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের সাবেক চিকিৎসক জোবাইদুর রহমান।

এর মধ্যে নিহতের স্বামী আসিফ কারাগারে ও বাকি আসামিরা জামিনে আছেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৯ মার্চ সন্ধ্যায় রাজশাহী মহানগরীর মহিষবাথান এলাকায় আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন রমজানের বাড়িতে ওয়াহিদা সিফাতের মৃত্যু হয়। তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। সিফাত আত্মহত্যা করেছে বলে প্রথমে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন দাবি করলেও আদালতের নির্দেশে রংপুর মেডিকেল কলেজের তিন সদস্যের বোর্ড দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে আঘাতজনিত কারণে সিফাতের মৃত্যুর কথা উল্লেখ করে।

এ ঘটনায় মহানগরীর রাজপাড়া থানায় হত্যা মামলা করেন সিফাতের চাচা মিজানুর রহমান খন্দকার। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা এ মামলায় যৌতুকের দাবিতে হত্যার অভিযোগ আনা হয়। বাদীপক্ষের আবেদনে গত বছরের ১২ জুলাই মামলাটি রাজশাহী থেকে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩-এ স্থানান্তর করা হয়।

এর আগে গত বছরের ২৩ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাবেক জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার আহমেদ আলী চারজনের বিরুদ্ধে রাজশাহী মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি মাহবুব আহমেদ জানান, এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ৩২ জনের মধ্যে ২২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।