ব্লগার রাজীব হত্যা, রানা আবারও রিমান্ডে

Looks like you've blocked notifications!

ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি রেদোয়ানুল আজাদ রানাকে আবার তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম আবদুল্লাহ আল মাসুদ এ আদেশ দেন। এর আগে রানাকে আজ সোমবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে হাজির করে ফের সাতদিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। গত ২১ ফেব্রুয়ারি রানাকে পাঁচদিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। ওই রিমান্ড শেষে আজ আবার নতুন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়।

ঢাকা মহানগরের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আনিসুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

গত ২০ ফেব্রুয়ারি রানাকে উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করেছে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট।

২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর ব্লগার রাজীব হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। এতে দুজনকে মৃত্যুদণ্ড, একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন আদালত।

মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া দুজন হলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফয়সাল বিন নাইম ওরফে দিপু (২২) ও রেদোয়ানুল আজাদ রানা (৩০)। যাবজ্জীবন দণ্ড পান মাকসুদুল হাসান অনিক (২৬)। এঁদের মধ্যে রানা পলাতক ছিলেন।

বাকি পাঁচজনের মধ্যে এহসানুর রেজা রুম্মান (২৩), মো. নাঈম সিকদার ওরফে ইরাদ (১৯) ও নাফিজ ইমতিয়াজকে (২২) ১০ বছরের কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাস কারাদণ্ডের রায় দেন আদালত।

আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি মো. জসীমুদ্দীন রাহমানীকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডসহ দুই হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

আর সাদমান ইয়াছির মাহমুদকে তিন বছরের কারাদণ্ড, দুই হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ড দেন বিচারক। তাঁদের মধ্যে মুফতি জসীমুদ্দীন রাহমানী ছাড়া সবাই নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাসায় ফেরার পথে রাজধানীর পল্লবীর কালশীর পলাশনগরে আততায়ীর হাতে নিহত হন রাজীব হায়দার শোভন। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ডা. নাজিম উদ্দীন পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

পরের বছর ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পরিদর্শক নিবারণ চন্দ্র বর্মণ ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে আটজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

২০১৫ সালের ১৮ মার্চ ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক রুহুল আমিন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আনুষ্ঠানিকভাবে এ মামলায় বিচারের নির্দেশ দেন।