কলম দিয়ে ভিডিও ধারণ, শিক্ষক বরখাস্ত

Looks like you've blocked notifications!

জয়পুরহাটে একটি মামলার শুনানি চলাকালে কলম দিয়ে গোপনে ভিডিও ধারণ করার দায়ে মাহবুবর রহমান নামের এক সহকারী শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বরখাস্তের চিঠি পাঠিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ডিপিইও) বদরুজ্জেহা।

বরখাস্ত হওয়া মাহবুব জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, অসদাচরণের অভিযোগে দায়ের করা একটি বিভাগীয় মামলার শুনানিতে গত মঙ্গলবার বিকেলে উপস্থিত ছিলেন ক্ষেতলালের হিন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও ক্ষেতলাল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবর রহমান। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বদরুজ্জেহা শুনানি করছিলেন।

শুনানি শেষে লিখিত বক্তব্যে স্বাক্ষর করার জন্য পকেটে কলম থাকা সত্ত্বেও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে কলম চান মাহবুবর রহমান। এতে সন্দেহ হয় জেলা কর্মকর্তার। তিনি কলম চাওয়ার কারণ জানতে চান। মাহবুবর  জানান, তাঁর কলম কালো কালির নয়।

তখন কলমটি নিয়ে কম্পিউটারের সঙ্গে যুক্ত করলে বোঝা যায়, সেটি একটি গোপন ক্যামেরা। সেটি দিয়ে মাহবুবর শুনানির পুরো অংশ গোপনে ভিডিও করেছেন। এটি জানার পর কর্মকর্তা তাঁকে বসতে বললে মাহবুব অফিস থেকে বের হয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান।

সহকারী শিক্ষকের এ ধরনের কার্যকলাপ সরকারি কর্মচারী বিধিমালা ১৯৮৫ অনুযায়ী অসদাচরণের পর্যায়ভুক্ত অপরাধ। এ জন্য তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়েরের পর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাঁকে সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে বরখাস্ত হওয়া শিক্ষক মাহবুব বলেন, ‘আসলে কলমাকৃতির ওই ক্যামেরা শুনানির দিনই আমি কিনে নিয়ে পকেটে রেখে শুনানিতে অংশ নিয়েছি। কী রকম রেকর্ড হয় তা দেখার জন্য সুইচ অন করে পকেটে রেখেছি। এটা আমার মস্ত বড় ভুল হয়েছে। আমি এর জন্য ক্ষমাও চেয়েছি।’

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বদরুজ্জেহা জানান, প্রতিটি শিক্ষককে তাঁর চাকরিবিধি মেনে চলার পাশাপাশি নৈতিকতা বজায় রেখে চলা উচিত। কিন্তু মাহবুব পুরো আলাদা। তাঁর বিরুদ্ধে আরো একাধিক অভিযোগ তদন্তাধীন। সেগুলোও তদন্তসাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।