সাংবাদিক বালু হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাস
খুলনার বিশিষ্ট সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর বালু হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী ও অর্থ জোগানদাতাসহ প্রকৃত খুনিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার নিবাস চন্দ্র মাঝি।
আজ রোববার দুপুরে কেএমপির সভাকক্ষে খুলনা ওয়ার্কিং জার্নালিস্ট ইউনিটির দেওয়া স্মারকলিপি নেওয়ার সময় সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় এসব কথা বলেন কেএমপি কমিশনার।
নিবাস চন্দ্র মাঝি আরো বলেন, বিস্ফোরক মামলার তদন্তের মধ্য দিয়েই হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উন্মোচন করার প্রচেষ্টা চালানো হবে। এ জন্য তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির দায়িত্বশীলদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে এবং নিজেই প্রয়োজনীয় নিদের্শনা দেবেন বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
দৈনিক জন্মভূমি পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক, খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি হুমায়ুন কবির বালুর ১১তম হত্যাবার্ষিকী উপলক্ষে খুলনা ওয়ার্কিং জার্নালিস্ট ইউনিটির চারদিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ এ স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা ওয়ার্কিং জার্নালিস্ট ইউনিটির আহ্বায়ক গৌরাঙ্গ নন্দী, সাংবাদিক শেখ আবু হাসান, এস এম জাহিদ হোসেন, এস এম হাবিব, কাজী মোতাহার রহমান বাবু, এস এম সাহিদ হোসেন, শাহ আলম, মুহাম্মদ আবু তৈয়ব, মুন্সী মাহাবুব আলম সোহাগ, হাসান আহমেদ মোল্লা, সোহরাব হোসেন, শামছুজ্জামান শাহিন, কৌশিক দে, হেদায়েত হোসেন, কাজী শামীম আহমেদ, মোস্তফা জামাল পপলু, মোজাম্মেল হক হাওলাদার, আলমগীর হান্নান, আমীরুল ইসলাম, কবিরুজ্জামান বাপ্পী, নাজমুল হক পাপ্পু, শাহ নেওয়াজ, বাহাউদ্দিন বাহার, সেলিম গাজী, জাহিদ গাজী, তুফান গাইন, সাগর সরকার, শেখ মো. জুয়েল, মো. পলাশ, শাহ আলম প্রমুখ।
এ ছাড়া খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি কাজী আমিনুল হক ও প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান মোল্লাও স্মারকলিপি দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৫ জুন সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় খুলনা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেবে ওয়ার্কিং জার্নালিস্ট ইউনিটি। এ ছাড়া ১৬ জুন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খুলনা প্রেসক্লাব চত্বরে প্রতীকী গণ-অনশন এবং ২৭ জুন বিকেলে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
২০০৪ সালের ২৭ জুন বোমা হামলায় নিজ বাসার সামনে মারা যান সাংবাদিক হুমায়ুন কবির বালু।