তিন দিন আগে ‘নিখোঁজ’ দুজন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

Looks like you've blocked notifications!
সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় গতকাল দিবাগত রাতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুজন নিহত হন। ছবি : এনটিভি

সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের রহিমাবাদ গ্রামে লক্ষ্মণ দাসের আমবাগানে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত দুজন হলেন বিদ্যুৎ বাছাড় ও তাঁর সহযোগী শেখ তালহা। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁদের লাশ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

পরিবারের ভাষ্য, নিহত দুজন গত বুধবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন।

পুলিশের ভাষ্য, বন্দুকযুদ্ধে সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সফিউজ্জামান ও কনস্টেবল নাজমুল আহত হন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটার বন্দুক, একটি দেশি পিস্তল, রামদা, হাতুড়িসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয় বলে দাবি করেছে পুলিশ।

তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  হাসান হাফিজুর রহমান জানান, রহিমাবাদ গ্রামের আমবাগানে বসে কয়েকজন ব্যক্তি ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে পুলিশের কাছে খবর আসে। সেই খবরের ভিত্তিতে তালা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাফফর ও এসআই নাজমুলের নেতৃত্বে পুলিশের দুটি দল ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় ডাকাতরা তাদের ওপর ককটেল ও গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। প্রায় ১৫ মিনিট এভাবে গোলাগুলি চলে। এর পর ঘটনাস্থলে নিহত অবস্থায় দুজনকে পড়ে থাকতে দেখা যায়।

ওসি আরো জানান, স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে নিহত দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন তালার মাগুরা ইউনিয়নের মাগুরাডাঙ্গা গ্রামের কানাই বাছাড়ের ছেলে বিদ্যুৎ বাছাড় ও সুজনসাহা গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে শেখ তালহা।

পুলিশের এই কর্মকর্তার দাবি, বিদ্যুৎ বাছাড় চরমপন্থী পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির বিদ্যুৎ বাহিনীর প্রধান। তাঁর বিরুদ্ধে পাঁচটি ডাকাতি, তিনটি অস্ত্র মামলাসহ ১৪টি মামলা রয়েছে। অন্যদিকে নিহত তালহার বিরুদ্ধে রয়েছে একটি নাশকতার মামলা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিদ্যুৎ বাছাড় টানা ছয় বছর ফেনসিডিল পাচার মামলায় কারাবন্দি ছিলেন। দুই মাস আগে তিনি বাড়ি ফেরেন।

এদিকে বিদ্যুতের বিষয়ে জানাতে তাঁর ভাগ্নে তালা উপজেলার নগরঘাটা ইউনিয়নের বিশ্বজিৎ দাস গতকাল শনিবার রাতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করতে আসেন। কিন্তু সুযোগ স্বল্পতার কারণে তাঁকে পরের দিন আসতে অনুরোধ করেন উপস্থিত সাংবাদিকরা।

সেই সময় বিশ্বজিৎ সাংবাদিকদের জানান, তাঁর মামা গত বুধবার দাওয়াত খেতে সুজনসাহা গ্রামের গোপাল দাসের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে রাতে টিভি দেখার সময় পুলিশ তাঁকে, গোপালের ছেলে পলাশ দাস ও নুর ইসলামের ছেলে শেখ তালহাকে ধরে নিয়ে যায়। এর পর থেকে তাঁরা নিখোঁজ ছিলেন।

বিশ্বজিৎ আরো জানান, ২০১০ সালে বিদ্যুৎকে বেনেরপোতা সেতুর ওপর থেকে ফেনসিডিলসহ পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এ মামলায় তিনি ছয় বছর জেলে ছিলেন।