চাঁদা তুলে মেজবানি করলে শাস্তি : যুবলীগ চেয়ারম্যান

Looks like you've blocked notifications!
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী কলেজ গেট এলাকায় আজ শনিবার সকালে থানা যুবলীগের পথসভায় বক্তব্য দেন যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী। ছবি : এনটিভি

রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে প্যান্ডেল করে জনসভা না করতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী। সেই সঙ্গে চাঁদা তুলে মেজবান না করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, চাঁদা তুলে কেউ মেজবানের আয়োজন করলে দলীয়ভাবে তাঁকে শাস্তি দেওয়া হবে।

আজ শনিবার সকালে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী কলেজ গেট এলাকায় এক পথসভায় যুবলীগের চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

যুবলীগের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আপনারা রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে মিটিং করছেন। আমি না নামলেও পারতাম। কারণ এ সভাটি রাস্তার পাশে হওয়ায় জনদুর্ভোগ বেড়েছে। আমি না নামলে আপনারা গালি দিতেন। আমার কিছুই হতো না। আমি গালি শুনতে শুনতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি।’

ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, ‘কী দরকার ছিল রাস্তার পাশে জনসভা করার? একটি মাঠে করতেন। তবু তো হতো। এর দ্বারা জনমত আমার বিপক্ষে যাবে। রাজনীতি করতে হলে কর্মসূচি লাগবে। সংগঠন মানে আন্দোলন। আন্দোলন মানে সংগঠন। সংগঠনের কাজ বহুমাত্রিক। নেতাকর্মীর সমন্বয় সাধন করা। জনমত সৃষ্টি করা।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিজের নেতা উল্লেখ করে যুবলীগের চেয়ারম্যান আরো বলেন, নেতা চিনতে হবে। তাঁকে চেনার জন্য একটি গবেষকদল নিয়ে ৩৯টি দেশ সফর করেছেন। শেখ হাসিনাকে জানতে হবে। রুলস অব শেখ হাসিনা।

ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, জিয়ার শাসন আমলে ভোটের অধিকার ছিল হ্যাঁ ও না ভোট। তারপর ১০টি হোন্ডা ও ২০টি গুন্ডার দাপট। এরশাদ আমলে ছিল মিডিয়া। ভোট হয়ে যেত। এক সপ্তাহ পরে এরশাদের পছন্দসই প্রার্থীকে বিজয়ী করা হতো। বেগম জিয়ার সময় সোয়া দুই কোটি ভুয়া ভোটার। আর শেখ হাসিনার নির্বাচন হলো আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাঁকে দেব।

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আলতাফ হোসেন বাচ্চু, নগর যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু,  যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা মো. সেলিম, টিপু সুলতান।

এদিকে, দুপুরে চট্টগ্রামের পটিয়া আবদুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগের চেয়ারম্যান আগামী প্রজন্মকে স্বপ্নবাজ শিক্ষার্থী হিসেবে গড়ে ওঠার আহ্বান জানান।

উপকমিটির আহ্বায়ক বদিউল আলমের সভাপতিত্বে সভায় স্থানীয় সংসদ সদস্য শামসুল হক চৌধুরী, পৌরসভার মেয়র হারুন অর রশিদ, শিক্ষাবিদ ড. এ টি এম রফিকুল হক বক্তব্য দেন।

এর আগে অতিথিরা জাতীয় পতাকা ও বিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন। পরে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রামের নৃ-গোষ্ঠীর নৃত্য পরিবেশন করে কয়েকটি সংগঠন।