ধনকুবের মুসা বিন শমসেরের ব্যবহৃত বিলাসবহুল গাড়ি আটক

Looks like you've blocked notifications!
শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে আলোচিত ধনকুবের প্রিন্স মুসা বিন শমসেরের ব্যবহৃত এই রেঞ্জ রোভার গাড়িটি আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমণ্ডি থেকে আটক করেছেন শুল্ক গোয়েন্দারা। ছবি : সংগৃহীত

শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে আলোচিত ধনকুবের প্রিন্স মুসা বিন শমসেরের ব্যবহৃত একটি কালো বিলাসবহুল রেঞ্জ রোভার গাড়ি আটক করেছেন শুল্ক গোয়েন্দারা। আজ মঙ্গলবার দিনভর নাটকীয়তা শেষে বিকেলে রাজধানীর ধানমণ্ডির আত্মীয়র বাসা থেকে গাড়িটি আটক করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শুল্ক গোয়েন্দা, বাংলাদেশের ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, শুল্ক ফাঁকি দেওয়া একটি কালো রেঞ্জ রোভার গাড়ি আটক করতে ধনকুবের প্রিন্স মুসার গুলশানের বাড়িতে শুল্ক গোয়েন্দারা আজ অভিযান চালান। দিনভর নাটকীয়তা শেষে গাড়িটি বিকেলে ধানমণ্ডি থেকে আটক করা হয়।

এই গাড়িটি ভুয়া আমদানি দলিলাদি দিয়ে ভোলা ঘ ১১-০০-৩৫ হিসেবে রেজিস্ট্রেশন নেওয়া হয়েছিল। কাগজপত্র যাচাই করে দেখা যায়, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের বিল অব এন্ট্রি ১০৪৫৯১১ তারিখ ১৩/১২/২০১১ এ ১৩০ শতাংশ শুল্ক প্রদান করে ভোলা থেকে রেজিস্ট্রেশন গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া রেজিস্ট্রেশনে গাড়িটির রং সাদা উল্লেখ থাকলেও উদ্ধার করা গাড়িটি কালো রঙের। কাস্টম হাউসের নথি যাচাই করে এই বিল অব এন্ট্রি ভুয়া হিসেবে প্রমাণ পাওয়া গেছে।

শুল্ক গোয়েন্দারা জানান, মুসা বিন শমসের গুলশান ২-এর ১০৪ নম্বর রোডের ৮ নম্বর বাসায় রেঞ্জ রোভার গাড়িটি ব্যবহার করেন। গাড়িটি হস্তান্তর করার জন্য আজ সকাল ৮টায় তাঁকে নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু এর আগেই গাড়িটি অন্যত্র সরিয়ে ফেলেন প্রিন্স মুসা বিন শমসের। প্রথমে সকাল সাড়ে ৬টায় গাড়িতে করে নাতিকে ধানমণ্ডির সানবিম স্কুলে ডিউটিতে পাঠানো হয়। এরপর স্কুল থেকে গাড়িটি ধানমণ্ডির ৬ নম্বর রোডের ৫১-এ আত্মীয়ের বাসায় লেকব্রিজ অ্যাপার্টমেন্টে লুকিয়ে রাখেন। স্কুল ছুটি হলে দুপুর ২টায় অন্য আরেকটি গাড়িতে করে নাতিকে গুলশানের বাড়িতে আনা হয়। এ বিষয়ে বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেন শুল্ক গোয়েন্দারা। এরপর বেলা সাড়ে ৩টার দিকে রেঞ্জ রোভার গাড়িটি ধানমণ্ডির বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়।

শুল্ক গোয়েন্দারা জানান, ভোলার বিআরটিএ থেকে জানা যায়, ভোলা ঘ ১১-০০-৩৫ নম্বরের রেঞ্জ রোভার গাড়িটি পাবনার ফারুকুজ্জামান নামের এক ব্যক্তির নামে রেজিস্ট্রেশন নেওয়া হয়। কিন্তু গাড়িটি মুসা বিন শমসের ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করেছেন। এখন শুল্ক আইন ও মানি লন্ডারিং আইনে তদন্ত শেষে মামলা ও পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।