আদালতে ইউপি চেয়ারম্যান, হাজারো সমর্থকের ভিড়, কাঁদছেন অনেকে

Looks like you've blocked notifications!
ভোলার মনপুরায় আলাউদ্দিন চেয়ারম্যানকে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন এক বৃদ্ধ। ছবি : এনটিভি

ভোলার মনপুরার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কারারুদ্ধ মো. আলাউদ্দিন হাওলাদারকে দেখতে হাজারো মানুষের ঢল নামে। অনেককেই হাউমাউ করে কাঁদতে দেখা যায়।

আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মনপুরার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. বদিউল আলমের আদালতে হাজির করা হয় মো. আলাউদ্দিন হাওলাদারকে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় তাঁকে পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিল পুলিশ।

গত ১৬ মার্চ ভোলার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা স্থানান্তরের আবেদন (বিবিধ মামলা) করা হয়। সেদিন মনপুরা থানা থেকে মামলার নথিপত্র তলব করেন আদালত। এ আবেদনের কারণে আদালতে হাজির করা হলেও অধস্তন আদালতে কোনো শুনানি হয়নি। মামলার নথিপত্র জেলা জজ আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। 

এ ছাড়া একই সময় অপর একটি ডাকাতি মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। তবে এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা না থাকায় কোনো শুনানি হয়নি। আগামী ৩ এপ্রিল পরবর্তী দিন ধার্য করে বিচারক।
কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আলাউদ্দিন চেয়ারম্যানকে পুনরায় লঞ্চযোগে ভোলায় নিয়ে যায় পুলিশ। আদালত থেকে বের হওয়ার সময় শত শত নারী-পুরুষ ভিড় করেন। অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) আলাউদ্দিন হাওলাদার এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. শরীফ। এ সময় উপস্থিত চেয়ারম্যানের সমর্থকরা তাঁর বিরুদ্ধে করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

এদিকে, স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, চেয়ারম্যানকে দেখার জন্য মনপুরার কলাতলীর চর থেকে ট্রলারযোগে মানুষ যেতে চাইলে তাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়। মনপুরার মূল ভূখণ্ডে আসতে দেওয়া হয়নি। তারপরও সমর্থকদের কমতি ছিল না।

এর আগে ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ভোলার কারাগার থেকে ঢাকার লঞ্চ যোগে চেয়ারম্যান মো. আলাউদ্দিনকে মনপুরায় নিয়ে আসে পুলিশ।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় ব্যবসায়ী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, রাস্তার পাশে দোকানদারকে লাথি দিয়ে ফেলে দেন মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)। এরপর ব্যবসায়ীরা জড়ো হয়ে মিছিল করে উপজেলার দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় পুলিশ তাদের ওপর হামলায় চালায়। উভয় পক্ষের পক্ষে সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ৩০ জন গুলিবিদ্ধসহ শতাধিক মানুষ আহত  হয়। এ ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় ২৮ ফেব্রুয়ারি মনপুরা ১ নম্বর মনপুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিনকে পুলিশ সুপারের (এসপি) কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে আটক করা হয়। পরে বিভিন্ন মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।