খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো মামলা চলবে

Looks like you've blocked notifications!
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। পুরোনো ছবি

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা নাইকো দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম চলবে বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এ মামলার  কার্যক্রম স্থগিত ও রুল বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ নিষ্পত্তি করে আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার নেতৃত্বে তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ ও রুল বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ। এখন বিচারিক আদালতে মামলা চলতে বাধা নেই। হাইকোর্টের যে বেঞ্চ এই মামলার স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন, সেই বেঞ্চের এ বিষয়ে শুনানির এখতিয়ার ছিল না। বিষয়টি আমলে নিয়ে আপিল বিভাগ আজ আদেশ দিয়েছেন।

এর আগে গত ৭ মার্চ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন  বিচারপতি শেখ আবদুল আওয়াল ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ। আদালত এ মামলার কার্যক্রম স্থগিতে নিম্ন আদালতের আদেশ কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। চার সপ্তাহের মধ্যে সরকার ও দুদককে এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়।

ওই দিন শুনানিতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন। দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। আজও আদালতে তাঁরাই ছিলেন।

২০১৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর নাইকো দুর্নীতি মামলা স্থগিত চেয়ে নিম্ন আদালতে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। সে সময় আবেদনটি নামঞ্জুর করা হয়। পরে এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করেন খালেদা জিয়া।

কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় নাইকো দুর্নীতি মামলাটি করেন।

২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান।

অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন—সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।