ঘুরে দাঁড়ানো দেখে মুগ্ধ নেদারল্যান্ডসের মন্ত্রী

Looks like you've blocked notifications!
পটুয়াখালী সদর উপজেলার ছোটবিঘাই ইউনিয়নের ভুতুমিয়া এলাকা পরিদর্শন করেন নেদারল্যান্ডসের অবকাঠামো উন্নয়ন ও পরিবেশমন্ত্রী মেলানি স্যুজ ভান। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। ছবি : এনটিভি

‘অল্প কয়েকদিনেই এসব এলাকার মানুষ অনেক উন্নতি করেছে। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে।’

ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলা ও মহাসেন বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করে এ কথা বলেছেন নেদারল্যান্ডসের অবকাঠামো উন্নয়ন ও পরিবেশমন্ত্রী মেলানি স্যুজ ভান। এসব এলাকার মানুষের ঘুরে দাঁড়ানোর চিত্র দেখে মুগ্ধ হন তিনি। এসব এলাকার আরো উন্নয়নে নেদারল্যান্ডস সরকারের সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। 

আজ বুধবার পটুয়াখালী সদর উপজেলার ছোটবিঘাই ইউনিয়নের ভুতুমিয়া এলাকা পরিদর্শন করার সময় এ কথা বলেন স্যুজ ভান। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। 

এ সফরে আরো ছিলেন নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ মোহাম্মদ বেলাল, ম্যাক্স ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা স্টিভেন লি পোল ও ওকা লি পোল, ওই সংস্থার বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি ইমাম মাহমুদ রিয়াদ প্রমুখ। 

পরিদর্শনের সময় স্যুজ ভান ‘ব্লু গোল্ড প্রকল্প’ ও ম্যাক্স ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় মেলানি স্যুজ ভান বলেন, ‘আমার দেখে ভালো লাগছে,  দুর্গত এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ব্লু গোল্ড বেড়িবাঁধ নির্মাণ করছে। একই সঙ্গে ম্যাক্স ফাউন্ডেশন মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও মাতৃসেবা কার্যক্রম এবং পানি ব্যবস্থাপনা ও স্যানিটেশনসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।’ তিনি এ সময় এলাকাবাসীর সাথে বিভিন্ন বিষয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন। 

পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এ এলাকার নদী ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। 

ম্যাক্স ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা স্টিভেন লি পোল বলেন, ‘আমি আমার আট মাস বয়সী শিশু ম্যাক্সকে হারিয়েছি। আমি চাই না আর একটিও শিশু ওর মতো মারা যাক। তাই ম্যাক্স ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিশু ও মায়েদের সুস্বাস্থ্য ও উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চাই।’ 

ফাউন্ডেশনের আবাসিক প্রতিনিধি ইমাম মাহমুদ রিয়াদ বলেন, ‘পটুয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় শিশু ও মাতৃ মৃত্যুহার কমানো এবং স্যানিটেশন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করছে ম্যাক্স ফাউন্ডেশন।’