ধর্মীয় উসকানি

খালেদার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদনের সময় পেছাল

Looks like you've blocked notifications!
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার শুনানির জন্য আজ বৃহস্পতিবার সকালে বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতে যান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এ সময় তাঁর আইনজীবীরা উভয় মামলার শুনানির জন্য সময় আবেদন করেন। তবে আদালত সময় আবেদন নামঞ্জুর করে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার জেরা শুরু করতে বলেন। ছবি : ফোকাস বাংলা

ধর্মীয় উসকানি ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টির উদ্দেশে বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় পিছিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় ঢাকা মহানগর হাকিম শামছুল আরেফিন সময় সীমা পিছিয়ে আগামী ২৮ জুলাই পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী ঢাকা মহানগর হাকিম মোস্তাফিজুর রহমানের আদালতে নালিশি মামলাটি দায়ের করেন ।

পরে বিচারক মামলাটি শাহবাগ থানার একজন পরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে হিন্দু সম্প্রদায়ের শুভ বিজয়ার অনুষ্ঠানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন খালেদা জিয়া। এ সময় তিনি আওয়ামী লীগ সম্পর্কে কটূক্তিপূর্ণ সমালোচনা করেন। 

বক্তৃতার একপর্যায়ে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ পরে আছে। আসলে দলটি ধর্মহীনতায় বিশ্বাসী।’

খালেদা জিয়া আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সব ধরনের মানুষের ওপর আঘাত করে। আর লোক দেখানো ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দখল করে নেয়। ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ পরা এ জবরদখলকারী সরকারের হাতে কোনো ধর্মের মানুষই নিরাপদ নয়।’

এই বক্তব্যের মাধ্যমে খালেদা জিয়া ধর্মীয় উসকানি ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি করছেন- এমন অভিযোগ এনে ওই মাসেরই ২১ তারিখে  নালিশি মামলা দায়ের করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী।