ক্ষেপে গিয়ে গুলি ছোড়ে এমপিপুত্র রনি, আদালতে দুই বন্ধু

Looks like you've blocked notifications!
বখতিয়ার আলম রনি। ফাইল ছবি

সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য পিনু খানের ছেলে বখতিয়ার আলম রনির দুই বন্ধু টাইগার কামাল ও জাহাঙ্গীর আজ বৃহস্পতিবার আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁরা আদালতকে বলেছেন, ঘটনার সময় তাঁরা গাড়িতে একসঙ্গে ছিলেন। অতিমাত্রায় মদ পান করে তাঁরা একসঙ্গে বাসার উদ্দেশে রওনা হন। যাওয়ার পথে নিউ ইস্কাটনে যানজটে পড়ে রনি ক্ষেপে গিয়ে অটোরিকশা বরাবর গুলি ছুড়ে। এতে দুজন নিহত হন।

রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে মাইক্রোবাস থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে রিকশাচালক হাকিম ও অটোরিকশাচালক ইয়াকুব আলী হত্যা মামলায় আজ আদালতে টাইগার কামাল ও জাহাঙ্গীর ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বলে একটি সূত্র এনটিভি অনলাইনকে জানায়।

দুপুর ১টার দিকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক (এসআই) দীপক কুমার দাস দুজনকে হাজির করে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আবেদন করেন।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মহানগর হাকিম নুরু মিয়ার খাসকামরায় তাঁরা সাক্ষ্য দেন। ১৬১ ধারায় পুলিশের কাছে যে জবানবন্দি দিয়েছেন তাঁরা, আদালতে আজ সে কথাই বলেছেন।

এ ছাড়া গতকাল বুধবার মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য পিনু খানের ছেলে বখতিয়ার আলম রনির আরেক বন্ধু কামাল মাহমুদ মহানগর হাকিম আমিনুল রহমানের আদালতে সাক্ষ্য দেন। 
সাক্ষ্য দিয়ে কামাল বলেন, ‘ঘটনার দিন রনি গাড়িতে বসা ছিলেন। বাইরে প্রচণ্ড জ্যামের কারণে রনি ক্ষেপে গিয়ে তাঁর হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে গুলি ছোড়েন। কিন্তু গুলিতে কারা মারা গেছেন তা জানি না। কারো চিৎকার আমি শুনতে পাই নাই। আমি বিষয়টি পরে জানতে পারি।’

গত মঙ্গলবার মামলার অন্যতম আসামি বখতিয়ার আলম রনির জামিন নামঞ্জুর করেন সিএমএম আদালত। গত ১৩ এপ্রিল রাত পৌনে ২টার দিকে রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে একটি মাইক্রোবাস থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে রিকশাচালক হাকিম ও অটোরিকশাচালক ইয়াকুব আলী আহত হন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ এপ্রিল হাকিম এবং ২৩ এপ্রিল ইয়াকুব মারা যান।

নিহত হাকিমের মা মনোয়ারা বেগম অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে ১৫ এপ্রিল রাতে রমনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত ৩১ মে রনি ও তার গাড়িচালক ইমরান ফকিরকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরে বখতিয়ারের লাইসেন্স করা পিস্তল, ২১টি গুলি ও দুটি মুঠোফোন জব্দ করে পুলিশ।