সন্দ্বীপে ট্রলারডুবিতে নিহত ৪

Looks like you've blocked notifications!

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার গুপ্তছড়া ঘাটে একটি যাত্রীবাহী ট্রলারডুবির পর চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে গতকাল রাতে তিনজন ও আজ সকালে আরেকজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এখনো অন্তত ১৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সন্দ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল ইসলাম জানান, গতকাল রোববার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে ১২টায় ঘটনাস্থলের আশপাশ থেকে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর স্থানীয় ব্যক্তিদের সহায়তায় পুলিশ উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে গেলেও কাউকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

নিহতদের মধ্যে সালাহউদ্দিন নামের একজনের মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। বাকি তিনজনের লাশ স্থানীয় হাসপাতালে রাখা হয়েছে।

এদিকে, নিখোঁজদের উদ্ধারে নৌবাহিনীর ডুবুরি দল আজ সকাল ৮টায় ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। এরপর ঘাট থেকে বেশ খানিকটা দূরে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ওসি আরো জানান, চট্টগ্রামের কুমিরা ঘাট থেকে গুপ্তছড়া ঘাটে আসার পর যাত্রীরা নামার সময় প্রচণ্ড স্রোতে ট্রলারটি উল্টে যায়। এ সময় ১২ জন সাঁতরে তীরে উঠলেও নিখোঁজ থাকেন অনেকে।

এরপর স্থানীয়দের তৎপরতায় ডুবে যাওয়া ট্রলারটি তিন ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া এক নারীসহ তিনজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তাঁদের সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।

ওসি শামসুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধারকাজে নেমেছে কোস্টগার্ড ও পুলিশের সদস্যরা। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন স্থানীয়রা।

তবে ঘটনাস্থলে থাকা স্থানীয় সাংবাদিক মো. মাসুম আহমেদ জানান, ঘটনার পরপরই স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কোস্টগার্ড ও সন্দ্বীপ থানা পুলিশ উদ্যোগী হয়ে কাজ করলে নিখোঁজদের জীবিত উদ্ধার করা যেত। পুলিশ ও কোস্টগার্ড বাহিনী নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে বলেও স্থানীয়দের অভিযোগ আছে।

উদ্ধার হওয়া যাত্রী সাখাওয়াত হোসেন জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা একটি প্রশিক্ষণে অংশ নিতে চট্টগ্রাম গিয়েছিলেন। ফেরার পথে তাঁরা ট্রলার দুর্ঘটনায় পড়েন। নিখোঁজদের মধ্যে বেশির ভাগই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। ট্রলারে প্রায় ৪০ যাত্রী ছিল বলে জানিয়েছেন ওই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।