সুনামগঞ্জকে দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন

Looks like you've blocked notifications!
সুনামগঞ্জে ফসল রক্ষাবাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদে সর্বস্তরের লোকজনের মানববন্ধন। ছবি : এনটিভি

সুনামগঞ্জে ফসল রক্ষাবাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদে সর্বস্তরের মানুষ মানববন্ধন করেছে। বৃষ্টিতে দুর্বল বাঁধে ভাঙন এবং অকালবন্যায় জেলার বেশির ভাগ হাওরের কাঁচা ধান তলিয়ে যাওয়ায় সুনামগঞ্জকে দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবি জানিয়েছে তারা। সেই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। 

হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের সঙ্গে জড়িত দুর্নীতিবাজ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তা, পিআইসি ও ঠিকাদারদের বিচার এবং জেলাকে দুর্গত ঘোষণার দাবিতে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। 

সংগঠনের মুখপাত্র সাংবাদিক বিন্দু তালুকদারের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন কমিউনিস্ট পার্টির সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি চিত্তরঞ্জন তালুকদার, মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালিক, কৃষক লীগ নেতা করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল, লেখক ডা. মুর্শেদ আলম, আমরা হাওরবাসীর সমন্বয়ক রুহুল আমিন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান, সাংবাদিক লতিফুর রহমান রাজু, পংকজ কান্তি দে, টিআইবি সনাকের সদস্য অ্যাডভোকেট খলিল রহমান, জেলা উদীচীর সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সুজনের জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুম হেলাল, সাংবাদিক কুলেন্দু শেখর দাস, শামস শামীম, স্কাউট লিডার বুরহান উদ্দিন, অ্যাডভোকেট শাহীনূর রহমান প্রমুখ।

মানববন্ধনে ছাত্র, শিক্ষক, কৃষক, আইনজীবী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, হাওরের বাঁধ নির্মাণে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য থেকে শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিটি পর্যায়ের ব্যক্তিরা জড়িত। ফসল রক্ষাবাঁধ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম আর দুর্নীতি হওয়ার কারণে বছরের পর বছর সুনামগঞ্জের লাখ লাখ কৃষকের একমাত্র ফসল পানিতে ডুবে বিনষ্ট হয়। এ জন্য কোনো সময়েই দায়ী ব্যক্তিদের বিচার হয় না। ফসল রক্ষাবাঁধ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম আর দুর্নীতি হওয়ার কারণে বছরের পর বছর সুনামগঞ্জের লাখ লাখ কৃষকের বছরের একটি মাত্র বোরো ফসল পানির নিচে তলিয়ে যায়। 

গত কয়েক দিনে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে সুনামগঞ্জের হাওরে পাউবো নির্মিত অসম্পূর্ণ ও দুর্বল ফসল রক্ষাবাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে আবাদকৃত ফসলের প্রায় ৮০ ভাগ। এ বছর জেলা দুই লাখ ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে।