‘ফেসবুক প্রেমিকের’ সঙ্গে স্ত্রীর বিয়ে দিলেন স্বামী

Looks like you've blocked notifications!
রুস্তম চৌকিদারের সাবেক স্ত্রীকে নিয়েই এত কাণ্ড। ছবি : এনটিভি

মাত্র আট মাস আগে বিয়ে করেছিলেন শরীয়তপুর সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বাসিন্দা রুস্তম চৌকিদার (২৫)। এবার সুখের সংসার সাজানোর পালা।  কিন্তু জীবন তো আর সব সময় সরলরৈখিক হয় না।

স্বামী রুস্তম চৌকিদারের অভিযোগ, বিয়ের পরও ফেসবুকে অন্য আরেক ব্যক্তির সঙ্গে প্রেম করতেন স্ত্রী। তাই প্রিয়তমা স্ত্রীকে তাঁর ফেসবুকে পরিচয় হওয়া প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসিয়ে দিয়েছেন তিনি। আর হাসিমুখেই স্বামীর বিদায়ী তালাক নিয়ে নতুন প্রেমিকের হাত ধরে চলে গেছেন স্ত্রী।

ফিল্মি স্টাইলে তালাক দিয়ে স্ত্রীকে ফেসবুক প্রেমিকের হাতে তুলে দিয়ে রুদ্রকর ইউনিয়ন পরিষদে এখন তুমুল আলোচিত রুস্তম চৌকিদার। 

স্থানীয় ও রুস্তমের পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, সোনামুখী গ্রামের প্রবাসী সায়েদ চৌকিদারের মেয়ের সঙ্গে আট মাস আগে একই এলাকার হানিফ চৌকিদারের ছেলে রুস্তম চৌকিদারের বিয়ে হয়। সম্পর্কে তাঁরা একে অপরের চাচাতো ভাইবোন ছিলেন। 

কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর রুস্তমের স্ত্রীর সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় একই উপজেলার যুবক আসিফের (২৪)। ফেসবুকের মেসেঞ্জারের চ্যাটবক্সে আস্তে আস্তে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আর ওই সম্পর্কের কারণে বেশ কয়েকবার মিলিতও হন রুস্তমের স্ত্রী ও আসিফ। গত রোববার গভীর রাতে আসিফ প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গেলে স্বামী রুস্তম তাঁদের ধরে ফেলেন। ওই সময়ে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে রুস্তম স্ত্রীকে মৌখিক তালাক দেন। 

পরে স্থানীয় ইউপি মেম্বার টুটুল ঢালী উভয় পক্ষের সঙ্গে দেনদরবার শেষে স্বামীর উপস্থিতিতে ফেসবুকে পরিচয় হওয়া সেই প্রেমিক আসিফের সঙ্গে রুস্তমের স্ত্রীর রেজিস্টি ছাড়া বিয়ে সম্পন্ন করেন।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি মেম্বার টুটুল ঢালী বলেন, ‘রুস্তমরা আমার প্রতিবেশী। তাঁর স্ত্রী সম্পর্কে আমার ভাগনি হয়। রোববার রাতে ঘটনাটি শোনার পর আমি রুস্তমের বাড়িতে আসি। পরে রুস্তম তাঁর স্ত্রীকে তালাক দিলে আসিফ (ফেসবুকের প্রেমিক)  জাকিয়াকে বিয়ে করেন।’ রেজিস্টি ছাড়াই বিয়ে সম্পন্ন করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।

এদিকে রুদ্রকর ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান ঢালী বলেন, ‘সরকার বাল্যবিয়ের ব্যাপারে আইন করেছে। কিন্তু মেম্বার টুটুল ঢালী আইন না মেনে রেজিস্টি ছাড়াই বিয়ে করিয়েছেন বলে জানতে পেরেছি।’ এ ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবি জানান তিনি।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিয়াউর রহমান বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটে থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।