এবার মেহেরপুরের দুই জনপ্রতিনিধির বরখাস্তের আদেশ স্থগিত

Looks like you've blocked notifications!
মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম (বাঁয়ে) ও ভাইস চেয়ারম্যান জার্জিস হোসাইন। ছবি : সংগৃহীত

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার চেয়ারম্যান মো. আমিরুল ইসলাম ও ভাইস চেয়ারম্যান জারজীস হোসেনের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

আজ বুধবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় চৌধুরী ও মিথুন রায় চৌধুরী।

গত রোববার স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার চেয়ারম্যান মো. আমিরুল ইসলাম ও ভাইস চেয়ারম্যান জার্জিস হোসাইনকে বরখাস্ত করা হয়।

তাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় মুজিবনগর থানায় অভিযোগপত্র গৃহীত হওয়ায় বরখাস্ত করা হয়। পরে এই বরখাস্তের আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন তাঁরা।
সেই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত আজ বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করেন।

আমিরুল মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও জার্জিস হোসাইন উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করছেন। 

মুজিবনগর থানা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সরকারবিরোধী হরতাল-অবরোধ পালনকালে মুজিবনগর উপজেলার গৌরীনগর গ্রামে পুলিশের ওপর হামলা চালান বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় মুজিবনগর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল হোসেনসহ পুলিশের পাঁচ সদস্য আহত হন। ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে আমিরুল ইসলাম, জার্জিস হোসাইনসহ বিএনপি-জামায়াতের দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করে একটি মামলা করেন। পুলিশের অভিযোগপত্রে আমিরুল ইসলামকে ২ নম্বর ও জার্জিস হোসাইনকে ৯ নম্বর আসামি করা হয়।

এর আগে গত রোববার দুই ঘণ্টার ব্যবধানে দেশের দুটি সিটি করপোরেশন ও একটি পৌরসভার মেয়রকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। তাঁরা হলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জি কে গউছ। তাঁরা তিনজনই বিএনপির নেতা।

মামলায় অভিযোগপত্রে তিনজনের নাম থাকায় আইনগত প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই তাঁদের বরখাস্ত করা হয়েছে বলে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে জারি করা পৃথক প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে। 

তিন মেয়রই পরে আদালতে রিট করেন। রিটের শুনানি শেষে তাঁদের বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করা হয়।