ছেলে নিখোঁজ, বাবার শঙ্কা জেএমবিতে

Looks like you've blocked notifications!

রাজশাহী কলেজের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র উজ্জ্বল হোসেন (২২) তিন মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। তিনি নব্য জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশে (জেএমবি) যোগ দিয়েছেন বলে ধারণা করছে পরিবার। এ ব্যাপারে উজ্জ্বলের বাবা বাবর আলী বাগমারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

উজ্জ্বলের বাড়ি বাগমারা উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়নের তোকিপুর গ্রামে। তিনি রাজশাহী কলেজের ইংরেজি বিভাগের সম্মান দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। ২০১৬ সালের ১৯ ডিসেম্বর উজ্জ্বল বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি বলে জানান বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদ।

মামলার নথি ও পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, বাড়ি থেকে যাওয়ার আগে উজ্জ্বল নিজের ব্যবহার করা মুঠোফোনও রেখে গেছে। কলেজ ও ছাত্রাবাসে গিয়ে কোনো হদিস পায়নি পরিবার। গত ৪ এপ্রিল উজ্জ্বলের বাবা থানায় জিডি করেন। পরিবার ধারণা করছে, তিনি জেএমবিতে জড়িয়ে পড়েছেন।

এর আগেও বাগমারা উপজেলার বাসিন্দা ইংরেজি সাহিত্যের দুই শিক্ষার্থী জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। তাঁরা হলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যা মামলার প্রধান আসামি বাগমারা উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের শরিফুল ইসলাম ওরফে সোলেমান এবং নব্য জেএমবির কথিত প্রধান মাঈনুল ইসলাম ওরফে মুসা। এর মধ্যে শরিফুল ইসলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং মুসা ঢাকা কলেজের ইংরেজি বিষয়ের ছাত্র ছিলেন। শরিফুলের আড়াই বছর ধরে কোনো হদিস নেই।

উজ্জ্বল হোসেনের বাবা বাবর আলী জানান, উজ্জ্বল নগরীর তেরখাদিয়া এলাকার একটি ছাত্রাবাসে থেকে লেখাপড়া করত। গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর ছেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। বাড়ি থেকে যাওয়ার আগে ব্যবহার করা মুঠোফোনও রেখে গেছে। ছেলের সন্ধানের জন্য কলেজ ও ছাত্রাবাসে গিয়ে কোনো হদিস পাননি তিনি। তিন মাস ধরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগও রাখেনি ছেলে।

বাবর আলী বলেন, উজ্জ্বলের সামান্য মানসিক সমস্যা দেখা দিয়েছিল। এ জন্য তাকে আটকে রাখা হয়েছিল। নিখোঁজরা জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে—এমনটি জানার পর তিনিও ছেলের বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন। তবে বাড়িতে থাকা অবস্থায় উজ্জ্বলের মাঝে সে রকম কোনো পরিবর্তন লক্ষ করেননি তিনি।

উজ্জ্বলের প্রতিবেশী বাগমারা উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘উজ্জ্বল মেধাবী ও ভদ্র স্বভাবের। গ্রামের স্কুল ও কলেজ থেকে লেখাপড়া শেষে রাজশাহী কলেজে ইংরেজি বিষয়ে ভর্তি হয়েছিল। তবে দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ থাকায় উজ্জ্বল কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িয়ে যেতে পারে বলে আমরাও সন্দেহ করছি।’

ওসি নাছিম আহম্মেদ আরো জানান, এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন থানায় বার্তা পাঠানো হবে।