‘ঢাবির কর্মচারী ডিবির নজরদারিতে ছিলেন’

Looks like you've blocked notifications!
জঙ্গি কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগার (ল্যাব) সহকারী ও তাঁর তিন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। আজ শুক্রবার তাঁদের সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়। ছবি : ফোকাস বাংলা নিউজ

জঙ্গি কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আটক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের পরীক্ষাগার (ল্যাব) সহকারী মোহাম্মদ কাজী বাবলুর ওপর আগে থেকেই গোয়েন্দা পুলিশের নজরদারি ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক এম আমজাদ আলী এ কথা জানিয়েছেন ।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পৃথক অভিযানে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে কাজী বাবলু ও তাঁর তিন সহযোগী আটক করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা। পরে আজ শুক্রবার তাঁদের ডিএমপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে হাজির করা হয়।

এরপরই এক প্রতিক্রিয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক এম আমজাদ আলী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আটক ব্যক্তির প্রতি আগে থেকেই সন্দেহ ছিল। এ বছর ৫ জানুয়ারির পর থেকে বিএনপি-জামায়াত জোটের আন্দোলনের সময় যখন মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের আশপাশে মাঝেমধ্যেই ককটেল বিস্ফোরণ হতো, তখন থেকেই বেশ কয়েকজন ব্যক্তির ওপর নজর রাখা হয়। পরে কিছুটা বোঝা যায়, আটক ব্যক্তি বোমা তৈরির কাজে জড়িত আছে।’

আটককৃত ব্যক্তি কোনো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত আছেন কি না, এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর বলেন, ‘তিনি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত এ ধরনের অভিযোগ ছিল। কিন্তু প্রমাণ না থাকায় এতদিন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ডিবি তাঁকে আটক করেছে। যদি প্রমাণ পাওয়া যায়, তিনি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, চাকরিচ্যুত করা হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে গোয়েন্দাদের জানিয়েছে কি না এ ব্যাপারে প্রক্টর বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে ডিবিকে জানানো হয়নি। তবে আমি যতটুকু জানি, তাঁর বিরুদ্ধে আগে থেকেই ডিবির কাছে এ ধরনের তথ্য ছিল।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিভাগের টেকনিক্যাল কর্মকর্তা এনটিভি অনলাইনকে জানান, তিনি টিভিতে দেখে বিষয়টি জেনেছেন। এর বাইরে তিনি কিছু জানেন না।

এ বিষয়ে জানতে মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

তবে ওই বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম ইমামুল হক জানান, এর আগে ল্যাব সহকারী কাজী বাবলু বোমা তৈরি এবং জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত আছেন এমন তথ্য তাঁর জানা নেই।