ক্ষতিপূরণের মামলা

ড. ইউনূসকে ২৩ মে জবাব দাখিলের নির্দেশ

Looks like you've blocked notifications!
নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পুরোনো ছবি

ক্ষতিপূরণ চেয়ে এক ব্যবসায়ীর করা মামলায় গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের চেয়ারম্যান শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১২ জনকে আগামী ২৩ মে জবাব দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার ঢাকার দ্বিতীয় যুগ্ম জেলা জজ মো. শাহাদাত হোসেন এই আদেশ দেন।

গত ৩০ মার্চ ঢাকার সাভারে মেসার্স তাজ এন্টারপ্রাইজের মালিক ব্যবসায়ী মো. বাহাদুর ইসলাম ইমতিয়াজ এই মামলাটি করেন।

মামলার বাকি বিবাদীরা হলেন গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল হাসান, গ্রামীণ টেলিকমের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) ও বোর্ড সেক্রেটারি, উপব্যবস্থাপক মো. মাহমুদ, প্রতিষ্ঠানটির আইনসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক (এজিএম) ও বিভাগীয় প্রধান, প্রতিষ্ঠানটির টেকনিক্যাল বিভাগের সহকারী মহাব্যবস্থাপক, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, সহকারী ব্যবস্থাপক মো. আসাদ, বিশ্বজিৎ কুমার, প্রকৌশলী সফিকুল ইসলাম এবং ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভে অ্যান্ড ডিজাইনের মতিয়ার রহমান।

মামলার আরজিতে বলা হয়, ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন জিরাবোতে গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট ১৬২ বিঘা জায়গার ওপর ‘ঘোষবাগ’ প্রকল্পে আংশিক জায়গায় বালু ভরাটের জন্য বাদীর প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে  ৫০ লাখ সিএফটি বালু ভরাটের চুক্তি করে।

চুক্তি অনুযায়ী বাদীর প্রতিষ্ঠান চার কিলোমিটারজুড়ে পাইপ স্থাপন করে ২০১৫ সালের জুন ২০১৬ সালের নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় প্রায় ৫ কোটি টাকার বালু ভরাট করেন।

ওই টাকার মধ্যে বিবাদীরা বাদীকে এক কোটি সাত লাখ ৫১ হাজার ৭৮৪ টাকা বিল দেন। অবশিষ্ট চার কোটি ১৬ লাখ ২৯ হাজার ৪ দশমিক ২৬ টাকা পাওনা থাকে। বাদী এই অর্থ দিতে চারটি বিল দিলেও বিবাদীরা দেই-দিচ্ছি করে ঘোরাতে থাকেন। পরে বাদী টাকা না দেওয়ায় বালু ভরাট বন্ধ করে দেন। ওই টাকা আদায়ের জন্য বাদী লিগ্যাল নোটিশ দিলেও বিবাদীরা টাকা দেননি।

মামলায় চার কোটি ১৬ লাখ ২৯ হাজার ৪.২৬ টাকার সঙ্গে দুই কোটি ৬৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে।

বাদীর আইনজীবী ফারুক আলমগীর চৌধুরী সাংবাদিকদের বিষয়গুলো নিশ্চিত করেছেন।