লাঠিপেটায় ২২ ছাত্রী আহত, শিক্ষক বহিষ্কার

Looks like you've blocked notifications!

মাগুরার শালিখা উপজেলার শতখালী দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসায় এক শিক্ষকের লাঠিপেটায় ২২ ছাত্রী আহত হয়েছে।

গতকাল বুধবার বিকেল ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ওই শিক্ষকের নাম কামরুজ্জামান। তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এ ছাড়া শিক্ষকের লাঠির আঘাতে এক ছাত্রীর একটি হাত ভেঙে গেছে বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কামরুজ্জামান নবম শ্রেণিতে পড়াচ্ছিলেন। একপর্যায়ে দরজা বন্ধ করে শিক্ষার্থীদের লাঠি দিয়ে নির্মমভাবে পেটান তিনি। চারটি লাঠি ভেঙে যাওয়ার পর তিনি শ্রেণিকক্ষ থেকে বেরিয়ে আসেন। তার আগেই শিক্ষার্থীদের কান্না আর চিৎকারের শব্দ শুনে অন্য শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা তাঁর কক্ষের সামনে এসে দরজা খুলতে বলে। কিন্তু তিনি তা তোয়াক্কা না করে সব লাঠি ভেঙে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তাদের পেটাতে থাকেন। কামরুজ্জামান বেরিয়ে যাওয়ার পর অন্য শিক্ষকরা ক্লাসে ঢুকে দেখেন শিক্ষার্থীরা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আছে। এ সময় অন্য শিক্ষকরা বাজার থেকে ডাক্তার অসীমকে নিয়ে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। পরে গুরুতর আহতদের অভিভাবকরা নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করান।

অভিভাবক রফিকুল ইসলাম জানান, তাঁর মেয়েকে শিক্ষক কামরুজ্জামান এমনভাবে পিটিয়েছেন, যা বর্ণনা করা সম্ভব নয়। তিনি আরো জানান, ওই শিক্ষক বাংলা ভালোভাবে পড়াতে পারেন না। এ কারণে শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসার সুপারকে বাংলা শিক্ষক পরিবর্তন করার জন্য অনুরোধ জানায়। এ কারণেই শিক্ষার্থীদের এভাবে পেটান ওই শিক্ষক।

রফিকুল আরো জানান, আরেক ছাত্রীর হাত ভেঙে গেছে। মাগুরার আড়পাড়া নয়ন ক্লিনিকে এক্স-রে করা হয়েছে। এতে হাতের হাড়ে ফাটল দেখা দিয়েছে।

এ ব্যাপারে মাদ্রাসার সুপার হাফিজুর রহমান জানান, বিষয়টি মীমাংসার পর্যায়ে রয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সিরাজ-উদ-দৌলা বলেন, ‘আমরা বিষয়টি জেনেছি। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমী মজুমদার জানান, ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।