জলকেলি দিয়ে সাংগ্রাই শুরু

Looks like you've blocked notifications!
খাগড়াছড়িতে সাংগ্রাই উৎসব উপলক্ষে জলকেলি খেলায় মেতেছে মারমা তরুণ-তরুণীরা। ছবি : এনটিভি

মারমা সম্প্রদায়ের বর্ষবরণ ও বিদায় উৎসব সাংগ্রাইকে ঘিরে খাগড়াছড়িতে উৎসবের রং লেগেছে। এই উৎসবকে ঘিরে আজ শনিবার সকাল থেকে জলকেলি খেলায় মেতেছে মারমা তরুণ-তরুণীরা।

তিন দিনব্যাপী সাংগ্রাই উৎসব উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে শহরের পানখাইয়াপাড়া থেকে মারমা উন্নয়ন সংসদের উদ্যোগে মঙ্গল প্রদীপ জ্বেলে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। খাগড়াছড়ি-২৯৮ আসনের সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন।

এ সময় সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মীর মুশফিকুর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজুরী চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মো. রাশেদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আলী আহম্মদ খান উপস্থিত ছিলেন।

শোভাযাত্রাটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পদক্ষিণ শেষে মারমা উন্নয়ন সংসদ কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে জলকেলি উৎসবের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাসহ অতিথিবৃন্দ গোলাপ চন্দনের পানি ছিটিয়ে জলকেলি উৎসবের উদ্বোধন করেন।

পানিকে বিশুদ্ধতার প্রতীক ধরে নিয়ে মারমা তরুণ-তরুণীরা একে অন্যকে পানি ছিটিয়ে নিজেদের পবিত্র করে নেয়। পুরোনো বছরের দুঃখ, কষ্ট, গ্লানিকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানায় তাঁরা। জলকেলি প্রতিযোগিতায় শুধু অবিবাহিত তরুণ-তরুণীরা অংশ নেয়।

এক তরুণী বলেন, ‘এই উৎসবে আমরা তরুণ-তরুণীদের নিয়ে জলকেলি খেলা উপভোগ করে থাকি।’

আরেক মারমা তরুণ বলেন, ‘এটা আমাদের অন্যতম প্রধান একটি উৎসব। এই উৎসবে আমরা নানাভাবে আনন্দ করে থাকি। মূলত তিনদিন ধরে এই উৎসব চলে। আজ সাংগ্রাই উৎসবের প্রথম দিন। এদিনে আমরা জলকেলি খেলা খেলে থাকি। এ খেলায় ছেলে ও মেয়েরা নিজেদের পছন্দ মতো একে অন্যকে পানি দিয়ে ভিজিয়ে দিয়ে থাকে।’

আরেকজন বলেন, ‘আমাদের এই উৎসবের প্রধান খেলা হলো পানি খেলা। এর মাধ্যমে আমরা ছেলেমেয়েরা উভয়েই আনন্দ করে থাকি।’

সাংগ্রাই উৎসব উপলক্ষে আগামীকাল মারমা সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে অতিথি আপ্যায়নে তৈরি করা হবে। সাধারণত বিভিন্ন ধরনের সবজি দিয়ে এ পাজন রান্না করা হয়ে থাকে।