জমির বিরোধে ওঁরাও কিশোরকে গুলি করে হত্যা

Looks like you've blocked notifications!
নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার আকবরপুর গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আজ সোমবার সকালে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ওঁরাও সম্প্রদায়ের এক কিশোরকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ছবি : এনটিভি

নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ওঁরাও সম্প্রদায়ের এক কিশোরকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় আরো ১০ জন আহত হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৬ জনকে আটক করেছে। 

আজ সোমবার সকালে উপজেলার আকবরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই জেলা পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হকসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। 

নিহত মিথুন ওঁরাও (১২) গ্রামের আদিবাসী পল্লীর সনু ওঁরাওয়ের ছেলে। আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাতজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

ওঁরাও সম্প্রদায়ের লোকজন অভিযোগ করেন, আকবারপুর গ্রামের বুধুয়া পুকুরপাড়ে প্রায় সোয়া এক একর ওয়াকফ জমির ওপর গ্রামের স্থানীয় ও আদিবাসীসহ কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫টি পরিবার ঘরবাড়ি করে গত ১৪-১৫ বছর ধরে সেখানে বসবাস করে আসছে। 

জমির মালিকানা দাবি করে একই গ্রামের আব্দুল মতিন, বাবুল আখতার, মফিজ উদ্দিনসহ তাঁর লোকজন ওই জমি দখল নেওয়ার চেষ্টা করে আসছে। 

আজ সকাল ৯টার দিকে আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে বন্ধুক ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে ৫০-৬০ জনের একটি দল ওই পল্লীতে হামলা চালায়। তারা পল্লীর বাসিন্দাদের বেধড়ক মারপিট ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করে লুটপাট চালায়। একপর্যায়ে গুলি করা হয়। মিথুন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় বলে অভিযোগ করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

হামলার সময় ওই গ্রামের হাফিজুর রহমান (৩০), বেলাল হোসেন (৩৫), উকিল ওঁরাও (৩২), নজরুল ইসলাম (৪০), এমাজ উদ্দিন (৪০) মাজেদুর রহমান (২২), সাহিদা বেগম (৪০), পারুল বেগম (৪৫), আব্দুল মান্নানসহ (৩৫) ১০ জন।

ঘটনার পর আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে সাতজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। 
  
নওগাঁ সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) কানাই লাল সরকার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ হত্যাকাণ্ডের আলামত হিসেবে আবদুল মতিনের লাইসেন্স করা বন্দুকটি জব্দ করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে পত্নীতলা আদিবাসী পরিষদের সভাপতি সুধীর তির্কি বলেন, জমি দখল নিতে এক মাস আগেও আব্দুল মতিনের লোকজন সেখানে হামলা চালায়। তিনি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।