ফাইনাল পরীক্ষা বন্ধ করে দিল ছাত্রলীগ

Looks like you've blocked notifications!

ছাত্রলীগ নেতা আবদুল্লাহ আল কায়সারকে পরীক্ষায় অংশ নিতে না দেওয়ায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা হতে দিল না সংগঠনটি।

আজ বৃহস্পতিবার গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকদা বিভাগের ফাইনাল পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।

সহিংসতার অভিযোগে   কায়সার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কৃত। এ মেয়াদ শেষ হয়নি।

বিভাগের পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ  জাকারিয়া জানান, কায়সার চতুর্থ বর্ষের স্নাতক ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নিতে বিভাগে গেলে বহিষ্কৃত হওয়ায় তাঁকে পরীক্ষায় অংশ নিতে দেননি পরীক্ষা কমিটির সদস্যরা। পরে এ খবর ছড়িয়ে পড়েল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সামনে এসে জড়ো হয়। পুলিশ এসে তাদের লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দিলে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে তালা লাগিয়ে দেয়। এ সময় পুলিশের পাঁচ সদস্য ও ছাত্রলীগের এক কর্মী আহত হয়। সেইসঙ্গে একজনকে আটক করে পুলিশ। তবে কিছুক্ষণ পর তালা খুলে দেয় নেতাকর্মীরা।

পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ  জাকারিয়া জানান, অন্য পরীক্ষাগুলো রুটিন অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুপুর দেড়টায় নগরীতে শাটল ট্রেনের ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ট্রেনের হোস পাইপ কেটে দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ফলে ট্রেনটি যথাসময়ে ছেড়ে যেতে না পারায় দুর্ভোগে পড়েছেন হাজারো শিক্ষার্থী।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আলী আজগর জানান, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একপক্ষের নেতা মাহবুবুল হক শাহীনের ওপর হামলা ও তার একটি আঙ্গুল কেটে নেওয়ার ঘটনায় ২০১৬ সালে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শির্ক্ষাথী আবদুল্লাহ আল কায়সারকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করে প্রশাসন। দুই বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে তিনি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার চেষ্টা করলে প্রশাসন বাধা দেয়। এর প্রতিবাদে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পরীক্ষায় বাধা দেয়।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি সুজন জানান, আজকের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসম্পাদক আবদুল্লাহ আল কায়সার, উপদপ্তর সম্পাদক মিজানুর রহমান বিপুলকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁরা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আলমগীর টিপু বলেন, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার হয়ে যায় কি না সে বিষয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।