হাওরে ৫০ মেট্রিক টন মাছ মরে গেছে : যুগ্ম সচিব
সুনামগঞ্জে ধান পচে হাওরের পানি নষ্ট হয়ে এখন পর্যন্ত ৫০ মেট্রিক টন মাছ মরে গেছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সৈয়দ মেহেদী হাসান। বেশির ভাগ হাওরের পানি এখনো দূষিত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ সার্কিট হাউসে গণমাধ্যমকর্মীদের এসব কথা বলেন যুগ্ম সচিব সৈয়দ মেহেদী হাসান। হাওরে ও নদীতে মরা মাছ ভেসে ওঠার ঘটনায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে গঠিত তিন সদস্যের প্রতিনিধিদলের প্রধান তিনি।
আজ তিন সদস্যের এই প্রতিনিধিদল হাওর এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সৈয়দ মেহেদী হাসানের সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন সিলেটের বিভাগীয় মৎস্য কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন, উপপরিচালক মৎস্য অধিদপ্তর মো. রমজান আলী ও সুনামগঞ্জের মৎস্য কর্মকর্তা শঙ্কুর রঞ্জন দাস।
এই প্রতিনিধিদল আজ সকাল থেকে টাঙ্গুয়ার হাওর, মাটিয়ান হাওর, খরচার হাওর ও শনির হাওর ঘুরে দেখেন।
বিভিন্ন হাওরের পানি পরীক্ষা শেষে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা জানিয়েছেন, বেশির ভাগ হাওরে এখনো অ্যামোনিয়ার পরিমাণ বেশি আছে। অক্সিজেনের মাত্রা কম রয়েছে। তবে টাঙ্গুয়ার হাওরের পানি এখনো ভালো আছে। তবে আক্রান্ত হাওরের মাছ খেলে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দেবে। এ জন্য হাওরের মাছ ধরতে ও খাওয়া থেকে বিরত থাকার কথা বলেছেন তাঁরা।
পরিদর্শকদলের প্রধান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সৈয়দ মেহেদী হাসান বলেন, হাওরে ধান পচে পানি নষ্ট হয়ে গেছে। এতে করে এখন পর্যন্ত ৫০ মেট্রিক টন মাছ মরে গেছে। হাওরের বেশির ভাগ পানি এখনো দূষিত রয়েছে। তবে বেশি বৃষ্টি হলে পানি স্বাভাবিক মাত্রায় ফিরবে।
এই কর্মকর্তা বলেন, হাওর এলাকায় মাছ ধরা ও খাওয়া থেকে বিরত থাকার জন্য এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। হাওরের আক্রান্ত মাছ খেলে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে।
পানিতে ইউরেনিয়ামের লক্ষণ থাকার বিষয়ে পরিদর্শকদলের কাছে জানতে চাইলে সৈয়দ মেহেদী হাসান বেলন, পানিতে ইউরেনিয়াম পরীক্ষা করার মতো কোনো যন্ত্র তাঁদের কাছে নেই। এরপরও পরবর্তী সময়ে এ পরীক্ষা করা হবে।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামানসহ পাঁচ সদস্যের আরেকটি পরিদর্শকদল সুনামগঞ্জে গেছেন। তাঁরা শনিবার সকাল থেকে বিভিন্ন হাওয়ে পানির নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। দলের অন্যরা হলেন ঢাবির উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আজমল হোসেন ভূঁইয়া, স্নাতকোত্তরের ছাত্র শাহরিয়ার ইসলাম, শাহদীন ও আজমর।