কাউন্সিলরের অত্যাচার সইতে না পেরে গলায় ফাঁস!

Looks like you've blocked notifications!
মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার পাঁচঘড়িয়াকান্দি এলাকার বাসায় ইউসুফ আলী ব্যাপারীর ঝুলন্ত লাশ নামানোর পর স্বজনের আহাজারি। ছবি : এনটিভি

মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার পাঁচঘড়িয়াকান্দি এলাকার বাসা থেকে আজ রোববার সন্ধ্যায় ইউসুফ আলী ব্যাপারী (৫৮) নামের এক দোকানির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পৌরসভার আওয়ামী লীগ-সমর্থিত ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাকির হোসেনের অত্যাচার সইতে না পেরে ইউসুফ ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন বলে তাঁর পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছে। তবে কাউন্সিলর সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। কাউন্সিলর জাকির হোসেন একই সঙ্গে জেলা কমিউনিটি পুলিশের সদস্য।

ইউসুফ আলী ব্যাপারির  ছেলে নূরু ইসলাম বলেন, ‘জাকির হোসেন আমার বাবাকে দীর্ঘদিন ধরেই অত্যাচার করে আসছে। তিনি পাঁচটি সাদা স্ট্যাম্পে জোর করে আমার বাবার স্বাক্ষর নেন। এই ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ গত  ১৭ এপ্রিল জেলা প্রশাসকের কাছে দেওয়া হয়।’

ইউসুফের ভাই মো. ইসমাইল বলেন, ‘জাকির হোসেনের অত্যাচার সইতে না পেরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আমার ভাই আত্মহত্যা করে। আমার ভাইয়ের হাতে একটি সুইসাইড নোট ছিল। খবর পেয়ে জাকির হোসেন জোর করে বাড়িতে ঢুকে নিয়ে যায়। এতে কী লিখা ছিল তা জানা নেই।’

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইউনুচ আলী জানান, পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর পুলিশ তদন্ত করে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

অত্যাচারের অভিযোগ প্রসঙ্গে কাউন্সিলর জাকির হোসেন বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা। ইউসুফ আলীর পরিবারের সদস্যরা আমাকে যেভাবে দোষারোপ করছে তা ঠিক নয়।’

জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা বলেন, ‘আমাকে ১৭ এপ্রিল যে অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল আমি তার দ্রুত ব্যবস্থা নেই। দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, তা আমি খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করি। কাউন্সিলর জাকির হোসেনকে ডেকে এনে, দোকান বন্ধ করতে নিষেধ করি এবং আইন নিজের হাতে তুলে নিতে বাধা দেই। ইউসুফ আলী ব্যাপারীর মৃত্যুর খবরে আমি ব্যথিত।’

ইউসুফ আলী ব্যাপারীর স্ত্রী আছমা বেগম ১৭ এপ্রিল নিরাপত্তা চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে কাউন্সিলর জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে পাঁচটি খালি স্ট্যাম্পে সাক্ষর এবং দোকান বন্ধ করে দেওয়াসহ মামলা তুলে নেওয়ার হুমকির অভিযোগ আনা হয়।