৫ জানুয়ারির নির্বাচন না হলে চিত্র অন্যরকম হতো : খুলনার ডিআইজি

Looks like you've blocked notifications!
পুলিশের খুলনা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এস এম মনিরুজ্জামান আজ বুধবার মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামে নাশকতাবিরোধী এক পথসভায় বক্তব্য দেন। ছবি : এনটিভি

৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদের নির্বাচন না হলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি পাকিস্তান, আফগানিস্তানের মতো হতো বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের খুলনা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এস এম মনিরুজ্জামান। তিনি বলেছেন, দেশ যখন অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে চলেছে তখন হরতাল-অবরোধ দিয়ে একটি গোষ্ঠী দেশকে পেছনের দিকে ঠেলে দিতে যাচ্ছে। 

আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামে নাশকতাবিরোধী এক পথসভায় ডিআইজি এসব কথা বলেন।

মনিরুজ্জামান বলেন, ‘যিনি এই হত্যার নায়ক, যিনি মানুষকে পুড়িয়ে মারার নায়ক, যিনি রাস্তাঘাট বিশেষ করে ট্রেন লাইন উপড়ে ফেলে ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে ফেলে হাজার হাজার মানুষকে মৃত্যুর দিকে ফেলে দিতে কার্পণ্য করেন না, এতটুকু হৃদয় যার কম্পিত হয় না, একটি পুত্রসন্তান হারিয়েও যার হৃদয়ে এতটুকু মমত্ববোধের সৃষ্টি হয় না, আমি ধিক্কার জানাই, সেই মানুষটিকে। বাংলাদেশ ১৬ কোটি বাঙালির দেশ, এই দেশটা কাউকে ইজারা দেওয়া হয়নি। কারো বাপ-দাদা চৌদ্দগুষ্টির এই দেশ নয়। কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী, কোনো সহিংস ব্যক্তি, কোনো জঙ্গিবাদের জায়গা বাংলাদেশে নেই। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন যদি আজকে না হতো, আজকে বাংলাদেশের চিত্র অন্যরকম হতো। আমার বিশ্বাস এটি আলকায়েদা স্টাইলে একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো। পাকিস্তান, আফগানিস্তানের মতো একটি অরাজক, একটি নৈরাজ্যকর পরিবেশ, একটি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্য দিয়ে আমাদের যেতে হতো।’

নাশকতা সৃষ্টিকারীদের উদ্দেশে ডিআইজি বলেন, ‘সাহস যদি থাকে সামনাসামনি আসুন। চোরাগোপ্তা হামলা কেন? চোরের মতো রাতের অন্ধকারে পালিয়ে নিরীহ মানুষ মারেন কেন? আপনাদের যদি সাহস আছে, সামনে আসেন, দাঁড়ান। জনতার মুখোমুখি দাঁড়ান। জনতার কাছে বলেন, এ দেশের সাধারণ মানুষের কাছে বলেন, আপনারা এটা চান। রাজপথে দাঁড়ান। আপনাদের মানুষ মারার লাইসেন্স কেউ দেয়নি। আমার বিশ্বাস সেই দিন আর খুব বেশি দূরে নয়.... জনতার রুদ্ররোষে তাদের পতন হবে। এটা অনিবার্য।’

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন র‍্যাব ৬-এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল এনামুল আরিফ সুমন, খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক রফিকুল ইসলাম, মেহেরপুরের পুলিশ সুপার হামিদুল আলমসহ বিজিবি, পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তা এবং স্থানীয় বিভিন্ন  শ্রেণি-পেশার মানুষ।